নিজস্ব প্রতিবেদক,
সিলেটের বিশ্বনাথে রাতে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এক যুবলীগ কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশ্বনাথ থানায় দাখিল করা একটি অভিযোগ সূত্রে এমনটি জানা গেছে। রোববার ( ২৭ জুলাই) বিকেলে থানায় এই অভিযোগটি দায়ের করেন মুন্নি বেগম (৩১)। তিনি যুবলীগ কর্মী আব্দুস শহীদের স্ত্রী। এতে তিনি তিনজনকে অভিযুক্ত করেছেন।
তার অভিযোগ, অভিযুক্তরা ধর্ষণ করতে না পেরে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মাথায় রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা তার তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন।
শনিবার গভীর রাতে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের চক রাম প্রসাদ (লামারচক) গ্রামের যুবলীগ কর্মী আব্দুস শহীদের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ মুন্নি বেগমের।
থানায় দেওয়া তার অভিযোগপত্রে অভিযুক্তরা হলেন- আজিজনগর গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে তোরন মিয়া (৩১), চক রাম প্রসাদ (লামারচক) গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৫) ও একই গ্রামের মৃত ইছমত উল্লার ছেলে আলতাবুর রহমান (৪০)। এছাড়াও অভিযোগে অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে আরও ২/৩ জনকে।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ওই রাতে তিনি সন্তানদেরকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। অভিযুক্তরা গভীর রাতে বসত ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় তিনি প্রতিহতের চেষ্টা করলে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় কুপ দিয়ে গুরুতর আহত করে। তার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও ভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা আগেও তাকে রাস্তায় দেখলে অশালীন কর্থাবার্তা ও খারাপ আচরণ করতো। এছাড়াও প্রায় সময় খারাপ মনোভাব নিয়ে বাড়ির আশপাশে ঘুরাফেরা করতো।
এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই জহিরুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের সাথে বাদী পক্ষের দীর্ঘদিনের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি তার কাছে একটু সন্দেহজন মনে হচ্ছে। তবে অধিকতর তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন।
এব্যপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আলতাবুর রহমান (৪০) বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। পুলিশ গ্রামের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে ঘটনার কোনো সত্যতা পাবে না বলে তিনি দাবি করেন।