নিজস্ব প্রতিবেদক,
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার সুনামগঞ্জ-দিরাই আঞ্চলিক মহাসড়ক সিএনজি ও লেগুনা মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালক ও এক শিশু নিহত হয়েছে। এতে আরও ৬জন আহত হয়ে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের গাগলী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সিএনজি চালক জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার ঢুলপশী গ্রামের প্রতুল রঞ্জন চক্রবর্তীর ছেলে প্রদ্যুৎ চক্রবর্তী (৩৫) ও দিরাই উপজেলার কাদিরপুর ধল গ্রামের হাসান আলীর চার মাস বয়সী কন্যা হুমায়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন এবং আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাগলী গ্রামের আনজু মিয়ার বাড়ির সামনে দিরাই থেকে সুনামগঞ্জগামী একটি নাম্বার বিহীন লেগুনা ও বিপরীত দিক থেকে দিরাইগামী একটি অনটেস্ট সিএনজির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন সিএনজি চালক প্রদ্যুৎ চক্রবর্তী (৩৫) ও দিরাই উপজেলার কাদিরপুর ধল গ্রামের হাসান আলীর চার মাস বয়সী কন্যা হুমায়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়।
এই ঘটনায় আহতরা হলেন, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ওয়েজখালি গ্রামের মৃত শাহিদ মিয়ার ছেলে রুবেল (২৫), শান্তিগঞ্জ উপজেলার বগলাখারা গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে নাসির উদ্দিন (৩০), দিরাই উপজেলার ভাঙ্গাডহর গ্রামের সারত দাসের ছেলে জ্যোতিষ দাস (২৬), সাদিরপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে হাসান (৩৫), কাদিরপুর ধল গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের মেয়ে সুফিয়া (১৮) ও নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার আবরীপুর গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে বাদল মিয়া (৪০)।
শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকরাম আলী জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই সিএনজি চালক নিহত হয়, হাসপাতালে নেওয়ার পর একটি শিশু মারা যায়। এছাড়া ছয়জন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। লেগুনা সিএনজি দুইটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।