শাবিপ্রবি প্রতিনিধি,
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে এবং দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাহপরান হল থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু হলে গিয়ে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘চাঁদাবাজের কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’, ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘যুবদলের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘রক্ত দিয়েছি, আরও দেব অন্যায় ভাসবে রক্তের বন্যায়’ প্রভৃতি প্রতিবাদী স্লোগানে মুখর করে তোলেন পুরো ক্যাম্পাস।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবি শাখার আহ্বায়ক পলাশ বখতিয়ার, সদস্য সচিব হাফিজুল ইসলাম এবং সমন্বয়ক আজাদ শিকদার।
আহ্বায়ক পলাশ বখতিয়ার বলেন,
“২০০৬ সালে আওয়ামী লীগ যেমন সহিংসতায় মেতে উঠেছিল, আজ বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল সেই বর্বরতা আবার ফিরিয়ে আনছে। আমরা বলতে চাই এই দেশে কোনো সন্ত্রাসী কিংবা চাঁদাবাজের জায়গা নেই।”
সদস্য সচিব হাফিজুল ইসলাম বলেন,
“মিটফোর্ডে চাঁদা না দেওয়ায় একজন ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। একই ধরনের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। এই পরিস্থিতিতে আমরা শিক্ষার্থীরা গভীর উদ্বেগ ও ঘৃণা প্রকাশ করছি। রাষ্ট্রের উচিত নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কিন্তু তা ব্যর্থ হচ্ছে রাজনৈতিক আশ্রয়ে বেড়ে ওঠা অপরাধীদের দৌরাত্ম্যে।”
সমন্বয়ক আজাদ শিকদার বলেন,
“পাঁচ আগস্টের পর আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু সেই স্বপ্নকে পদদলিত করে আজও চলছে খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি। মিটফোর্ডে পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যার পর যেভাবে লাশের উপর দাঁড়িয়ে উল্লাস করা হয়েছে, তা সভ্য সমাজকে লজ্জায় ফেলে দেয়।”
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তারা বলেন, যতদিন দেশে শান্তি, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততদিন তাদের প্রতিবাদ চলবে।