শাবিপ্রবি প্রতিনিধি,
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিনোদনের উদ্দেশ্যে নির্মিত টেনিস কোর্টটি উদ্বোধনের দুই বছরের মধ্যেই প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই কোর্ট বর্তমানে আগাছায় ঢাকা, বিভিন্ন গাছপালায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র টেনিস কোর্টটিকে কেন্দ্র করে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মাঝে প্রত্যাশা ছিল অনেক। কিন্তু নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী, প্রশাসনিক অবহেলা এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা এখন আর খেলার উপযোগী নেই। নির্মাণের ছয় মাসের মধ্যেই প্লাস্টিকের সুরক্ষা জাল বারবার ভেঙে পড়ে। ঘাস, শ্যাওলা জমে থাকায় কোর্টটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ২০২২ সালের অক্টোবরে টেনিস কোর্টটির উদ্বোধন করা হয়, যার নির্মাণ ব্যয় দাঁড়ায় ৫০ লাখ ১০ হাজার ৮৭২ টাকা। উদ্বোধনের সময়কার উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদও কোর্টের মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা যে মান আশা করেছিলাম, তা পাইনি। এখন ত্রুটিগুলো সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে, প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত খরচ করেই।”
প্রকৌশল বিভাগ জানায়, নির্মাণ শেষে কোর্টটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওয়ারেন্টির আওতায় প্রথম নেটটি পরিবর্তন করা হলেও কোর্টের সামগ্রিক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবকে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রশীদ বলেন, “ক্লাবের নিজস্ব অর্থে টেনিস কোর্ট সংস্কার করা সম্ভব নয়। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় তা করা হয়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এখনো কোনো মিটিং হয়নি। তবে আমরা শীঘ্রই বসে টেনিস কোর্টের সংস্কারসহ বেশ কিছু দাবিসহ ভিসির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব উপস্থাপন করব।”
শিক্ষক-কর্মকর্তারা বলছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ না হলে টেনিস কোর্টটি একেবারে অকেজো হয়ে পড়বে। তাদের দাবি, অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে পুনরায় এই ক্রীড়া সুবিধাটি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।