ঝলক দত্ত,শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:::
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অপু বিশ্বাস বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত চা বাগানের মাটি, চা গাছের সবুজ পাতা ও কারখানাতে উৎপাদিত তৈরি চায়ে ভারী ধাতুর উপস্থিতি নিয়ে গবেষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ হতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
গত ১৬ জুলাই অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অপু বিশ্বাসকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। তার গবেষণার শিরোনাম ছিল `Assessment of Geochemical Variabilities in Tea Garden Soils and their Effects on the Quality of Tea in Bangladesh.’ মূলত ড. বিশ্বাস বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত চা বাগানের মাটি, চা গাছের সবুজ পাতা ও কারখানাতে উৎপাদিত তৈরি চায়ে ভারী ধাতুর উপস্থিতি নিয়ে গবেষণা করেন। বাংলাদেশের চা একটি নিরাপদ পানীয় তাই এই বিষয়ে ভবিষ্যতেও তার গবেষণা অব্যাহত থাকবে। ড. অপু বিশ্বাস পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করার জন্য ২০১৮ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের এনএটিপি-২ প্রকল্পের আওতায় স্কলারশীপ লাভ করেন।
ড. অপু বিশ্বাস শ্রীমঙ্গলের একজন কৃতি সন্তান। তার পিতা মৃত অরুণ বিশ্বাস এবং মাতা সবিতা ঘোষ। ড. বিশ্বাসের মামা শ্রীমঙ্গলস্থ স্বনামধন্য দি বাডস্ রেসিডেনসিয়্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার প্রাক্তন শিক্ষক প্রনজিৎ কান্তি ঘোষ (সিবু)।
মুজিব বাহিনীর প্রশিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহন লাল সোমের জামাতা ড. অপু বিশ্বাস। ‘তিনি ১৯৯৬ সালে দি বাডস্ রেসিডেনশিয়্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ হতে স্টার মার্কসসহ প্রথম বিভাগে এসএসসি এবং ১৯৯৮ সালে একই কলেজ হতে স্টার মার্কসসহ এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে ড. বিশ্বাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ হতে বিএসসি (অনার্স) এ প্রথম শ্রেণিতে ৬ষ্ট এবং একই বিভাগ হতে পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করেছিলেন। ড. অপু বিশ্বাস ২০০৭ সাল হতে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এ কর্মরত আছেন। তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে ১৯টি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন।
তিনি ২০১০-২০১১ সালে কলম্বো প্ল্যান স্কলারশীপ এর আওতায় ভারতের তামিলনাড়ুস্থ কোথারী এগ্রিকালচার ম্যানেজমেন্ট সেন্টার হতে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন টি প্ল্যানটেশন ম্যানেজমেন্ট কোর্স অত্যন্ত সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করেন। উনার স্ত্রী মেনকা সোম উত্তরসুর কুলচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।