Wednesday, August 13, 2025
Homeসিলেট বিভাগসিলেটকানাইঘাটে ভারতীয় চা-পাতার বস্তায় পাওয়া গেলো কসমেটিক্স চোরাকারীরা বেপরোয়া

কানাইঘাটে ভারতীয় চা-পাতার বস্তায় পাওয়া গেলো কসমেটিক্স \ চোরাকারীরা বেপরোয়া

 

কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ

কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বিজিবি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান থাকার পরও চোরাচালান থেমে নেই। চোরাকারবারীরা নানা অভিনব পন্থা অবলম্বন করে সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু, মহিষ, রাম ছাগল, চিনি, চা-পাতা, নাসির বিড়ি, সিগারেট, কমমেটিক্স, কাপড়, সুপারি, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী সহ নানা প্রকার মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। নতুন করে চোরাকারবারীরা ভারতীয় চা-পাতার বস্তার ভিতরে কসমেটিক্স সহ মাদকদ্রব্য ঢুকিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছে।

কয়েক মাস থেকে উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের মীরমাটি গ্রামের এক প্রবাসীর বসত বাড়ির দু’টি কক্ষ ভাড়া নিয়ে জৈন্তাপুর ও কানাইঘাটের একটি সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী চক্র সেখানে ভারতীয় নানা ধরনের পণ্যসামগ্রী মজুদ করে বিক্রি করে আসছিল। স্থানীয় লোকজন বাঁধা দেয়ার পরও তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় লোকজন কানাইঘাট থানা পুলিশকে খবর দিলে ঐ প্রবাসীর বসত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দু’টি কক্ষ থেকে ৬৯ বস্তা ভারতীয় চা-পাতা জব্দ সহ জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকার ৩ জন চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করে। থানায় চা-পাতার বস্তাগুলো নিয়ে আসার পর সিজারলিস্ট কালে চা-পাতার বস্তার ভিতরে ভারতীয় নানা প্রকার কসমেটিক্স সামগ্রী পায় পুলিশ। পরে থানা পুলিশ চা-পাতা ও কসমেটিক্স সিজারলিস্ট করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে থানার এস.আই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত ৩ জন সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী সুরইঘাট ও বড়বন্দ এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে চা-পাতার সাথে বস্তায় ভরে মাদকদ্রব্য, কসমেটিক্স সামগ্রী নিয়ে আসছে একটি চোরাকারবারী চক্র।

এছাড়া জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকায় সম্প্রতি সেনাবাহিনী, চোরাকারবারীদের আস্তানাগুলো গুড়িয়ে দেয়ায় সেখানকার চোরাকারবারীরা কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা দিয়ে ভারত থেকে চিনি, চা-পাতা, নাসির বিড়ি, মাদকদ্রব্য কানাইঘাটে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে এসে মজুদ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছে।

অভিযোগ রয়েছে চোরাকারবারীদের অনেকের কাছ থেকে পুলিশ ম্যানেজের নামে বড় অংকের মাসুহারা আদায় করা হয়। তবে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল জানান, মূলত সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি কাজ করে থাকে। তারপরও থানা পুলিশ নিয়মিত ভাবে চোরাচালান বিরোধী অভিয়ান করে আসছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments