নিজস্ব প্রতিবেদক,
সিলেট নগরীর মেজরটিলা এলাকায় ঘরের ভেতর থেকে এক শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।বুধবার বিকেলে শিশু মরদেহ উদ্ধারের সময় তার বাবাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বাবার গলায়ও আঘাতের চিহ্ন।
বুধবার রাতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অস্ত্রেপাচার সম্পন্ন হয়েচে। এখন আইসিইউতে আছেন তিনি। তবে কথা বলতে পারছেন না। পুলিশ তার সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় আছে।নিহত শিশুর নাম ইনায়া রহমান। তার বয়স আনুমানিক ২ মাস। সে ইসলামপুর এলাকার সিএনজি অটোরিকশা চালক আতিকুর রহমানের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, পরিবার নিয়ে ইসলামপুর এলাকার আনসার মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আতিকুর। প্রতিদিনের মতো বুধবার দুপুরে খাবার খাওয়ার পর স্ত্রীসহ আতিকুর রহমানের পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে হঠাৎ করে আসরের দিকে চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে দেখতে পান আতিকুর রহমানের পাশে তার ২ মাসের মেয়ে ইনায়া রহমানের গলাকাটা এবং পাশেই অটোরিকশা চালক আতিকুর রহমানের গলা অর্ধেক কাটা রয়েছে।
নিহত শিশুর মা ঝুমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, দুপুরের খাওয়া শেষে ঘুম থেকে উঠতে দেখেন, তার স্বামী শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর তার নিজের গলা কাটছে। তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের মানুষজন এসে হতাহতদের উদ্ধার করে।
নিহত শিশুর খালা নাজমা বেগম ও মামা টিপু মিয়া বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। যখন তাদের বোন ফোনে চিৎকার দিয়ে বলে, তার মেয়েকে জবাই করে স্বামীও নিজের গলা কাটতেছে। তিনি স্বামীকে থামিয়ে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে শাহপরাণ (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, শিশুটির মায়ের অভিযোগ আমরা শুনেছি। তবে শিশুর বাবা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত এখনও কোন কিছু ধারণা করা যাচ্ছে না।তিনি বলেন,শিশুটির বাবা আতিকুর রহমান আইসিইউতে আছেন। এখনও কথা বলতে পারছেন না। আমরা তার সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় আছি।ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের প্রধান ডা. নুরুল হুদা নাঈম বলেন, আতিকুর রহমানের গলার আঘাত বেশ বড়। তার শ্বাসনালি অনেকটা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। অস্ত্রোপচার শেষে তিনি এখন পর্যবেক্ষণে আছেন।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা পুরো ঘটনার তদন্ত করছি। ওই বাসার বাথরুম থেকে ব্যবহার করা দা জব্দ করা হয়েছে।তিনি বলেন, আতিকুর রহমানের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ঘটনার সব বিষয় তদন্ত করে মূল রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে পুলিশের কয়েকটি টিম।