দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ::
পারিবারিক পূর্ব বিরোধের জেরে তিন ভাই ও এক ভাতিজাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে আপন বড় ভাইয়ের বিরোদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে।
জানা যায়, রাজনগর গ্রামের মৃত ফজর আলীর পুত্র আব্দুল করিমের সাথে তাঁর চার সহোদর আব্দুল মতিন, আব্দুল আহাদ, আব্দুল ওয়াছির ও আব্দুল ছমাদের পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। গত ১৮ মে সকালে আব্দুল মতিনের ঘরের পেছনে পাকা রাস্তায় আব্দুল করিমের মেয়ে রোবেনা আক্তার (১২) ও আব্দুল বাছিরের ছেলে সুলেমান (১০) মিয়া খেলাধুলা করছিল। খেলাধুলার এক পর্যায়ে এই দুই চাচাতো ভাইবোনের মধ্যে কথাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
এসময় ধাক্কা লেগে পাকা রাস্তায় পড়ে রোবেনা বেগমের কপালে জখম হয়। তাৎক্ষনিক ভাবে এই ঘটনাটি মিমাংসা করা হলেও পরবর্তীতে এই ঘটনার জেরে রোবেনা বেগমের বাবা আব্দুল করিম দলবলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর ভাই আব্দুল মতিন, আব্দুল আহাদ, আব্দুল ওয়াছির ও আব্দুল ছামাদের বাড়িতে আক্রমণ করে। এসময় আব্দুল করিমের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আহত হন আব্দুল মতিন, আব্দুল আহাদ ও আব্দুল আহাদের মেয়ে মানসুরা বেগম (১২)।
পরে স্থানীয়রা এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনার কয়েকদিন পর গত ২৬ মে আব্দুল করিম তাঁর আপন তিন সহোদর আব্দুল মতিন, আব্দুল আহাদ, আব্দুল ওয়াছির এবং এক ভাতিজা আব্দুল ছমাদের পুত্র মোঃ আব্দুস সালামকে আসামী করে সুনামগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সিআর মামলা নং ২০৭।
মামলার প্রধান আসামী আব্দুল মতিন বলেন, ‘আমার ঘরের পেছনে দুই শিশুর মধ্যে খেলাধুলা করার সময় ধাক্কা লেগে পাকা রাস্তা পড়ে একজন আহত হয়। তাঁরা উভয়েই আমার ভাতিজা-ভাতিজি। পরে তাৎক্ষণিক ভাবে বাড়ির মহিলারা তাদেরকে শাসন করে বিষয়টি সমাধান করে। ওই ঘটনার সময় আমি বাড়িতেই ছিলাম না। অথচ পরবর্তীতে ওই ঘটনার জেরে আমার বড় ভাই আব্দুল করিম দুপুরে আমাদের বাড়িতে এসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে এবং আমাদেরকে মারপিট করে জখম করে। এখন আবার আমাদেরকেই আসামী করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমাদের কি অপরাধ? আমরা আইনের কাছে সুবিচার চাই।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আব্দুল করিম। তিনি জানান, তাঁর চার ভাই আব্দুল মতিন, আব্দুল আহাদ, আব্দুল ওয়াছির ও আব্দুল ছমাদ দীর্ঘদিন ধরে তাঁর ওপর জুলুম অত্যাচার করে আসছে। সর্বশেষ গত ১৮ মে ভাই ভাতিজারা মিলে আব্দুল করিম ও তাঁর পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা করে আহত করেন। এই ঘটনায় ন্যায় বিচার পেতে তিনি আদালতে মামলা করেছেন।