পিন্টু দেবনাথ, মৌলভীবাজার ;
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৩নং মুন্সীবাজার ইউনিয়নের রুপসপুর গ্রামের আভ্যন্তরীন রাস্তটি এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করেছেন বারবার। বর্ষা মৌসুমে রাস্তার বেহাল দশা, আর কাদায় পরিনত হওয়ায় মানুষ চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করে মঙ্গলবার সকাল থেকে গ্রামীণ অবকাঠামোর এক কিলোমিটার সড়ক স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করেছে মধ্যরুপসপুর এলাকাবাসী।
মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বৃহত্তর রুপসপুর একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। গ্রামটির পাশে আবহমান ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিজড়িত কেওলার হাওর রয়েছে। গ্রামটি নিম্নাঞ্চল থাকায় অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তখনই রুপসপুরের রাস্তা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এই গ্রামে রয়েছে রুপসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিদ্যালয়টি ভোট কেন্দ্র, লুৎফিয়া ইসলামিয়া টাইটেল মাদ্রাসা, জামে মসজিদ ও ঈদগাহ। এই অঞ্চল রয়েছেন অনেক প্রবাসী। তাদের উপার্জিত অর্থের একাংশ দেশ পরিচালনা ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন।
রুপসপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. দুরুদ মিয়া মাষ্টারসহ এলাকাবাসীরা জানান, রুপষপুর বন্দরবাজারের উত্তর পাশে মধ্যরুপষপুর গ্রামের মাহমুদ মিয়া বাড়ীর ডান পাশ হয়ে রফিক মেম্বারের বাড়ির সামনে দিয়ে রুপসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাস্তাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তা দিয়ে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। বর্ষার সময়ে অল্প বৃষ্টিতেই হাটু পর্যন্ত কাঁদা জমে থাকে। যার কারণে গর্ভবতীরোগী শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তারা আরো জানান, বিগত সরকারের আমলে বার বার আশ্বাস দিয়েও কোন কার্যক্রম হচ্ছে না, নেয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ। বর্তমান ৩নং মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাহিদ আহমেদ তরফদার রাস্তার উন্নয়নের জন্য গুরুত্ব দিচ্ছেন। মাঝে মাঝে রাস্তায় মাটি ও ইট দিয়ে কাদা ও ভাঙা জায়গায় সংস্কার করে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সরজিমন গিয়ে দেখা যায়, এলাকাবাসীর উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তার কাজ করছেন। রাস্তাটি বিভিন্ন স্থানে কাঁদা দেখা যায়।
কমলগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রাকিব হাসান জানান, রাস্তাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ রাস্তাটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। রাস্তাটি অনুমোদনের জন্য পূর্বে পাঠানো হয়েছে।
রাস্তাটি দ্রুত পাকার করনের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।