লিভার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এটি শরীর ডিটক্সিফাই করে। ঠিক মতো যত্ন না নিলে লিভারের ক্ষতি হয়। এমন কিছু অভ্যাস আছে যা লিভারের ক্ষতি করতে পারে। যেমন-
অত্যাধিক অ্যালকোহল সেবন: অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনে লিভারের নানাবিধ রোগ হয়, যা ফ্যাটি লিভার থেকে লিভার সিরোসিস পর্যন্ত হতে পারে। লিভার সুস্থ রাখতে চাইলে অ্যালকোহল গ্রহণ সীমিত করুন।
দুর্বল খাদ্যাভ্যাস: অস্বাস্থ্যকর চর্বি, চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ে। লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখেতে খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফল, গোটা শস্য, বাদাম এবং বীজ রাখুন।
স্থূলতা: অতিরিক্ত ওজন নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। লিভার সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং ওজন কমানোর জন্য একটি সক্রিয় জীবনধারা অনুসরণ করুন৷
ভাইরাল হেপাটাইটিস: হেপাটাইটিস বি এবং সি এর মতো সংক্রমণ যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে দীর্ঘমেয়াদী লিভারের ক্ষতি হতে পারে৷
ওষুধ ও সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ : চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো কোনো ওষুধ বা অতিরিক্ত পরিমাণে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে। ধূমপান: আপনি যদি চেইন স্মোকার হন তবে শুধু আপনার ফুসফুসেরই ক্ষতি করছেন না, লিভারেরও ক্ষতি করছেন। ধূমপান লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় এবং লিভারের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে।
পরিবেশগত বিষাক্ত পদার্থ: কিছু রাসায়নিক এবং বিষাক্ত পদার্থ লিভারের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। সেক্ষেত্রে কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার দিয়ে লিভার ডিটক্স নিশ্চিত করুন।
ব্যায়ামের অভাব: সক্রিয় জীবনধারার অভাবে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে লিভারের সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এ কারণে আপনার দৈনন্দিন রুটিনে ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত নিশ্চিত করুন৷
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণ: অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ে। খাদ্যতালিকা থেকে যতটা সম্ভব চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার বাদ দিন।
হাইড্রেশনের অভাব: লিভার ফাংশনসহ সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য হাইড্রেটেড থাকা গুরুত্বপূর্ণ। লিভার ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, ফল ও শাকসবজি খান। পাশাপাশি প্রাকৃতিক চিনিযুক্ত পানীয় পান করুন৷ সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস