Monday, May 12, 2025
Homeপর্যটনদোয়ারায় তীব্র তাপদাহের মধ্যেও আপন নিয়মে কৃষ্ণচূড়ার শাখা প্রশাখা সেজেছে রক্তিম সাজে

দোয়ারায় তীব্র তাপদাহের মধ্যেও আপন নিয়মে কৃষ্ণচূড়ার শাখা প্রশাখা সেজেছে রক্তিম সাজে

স্টাফ রিপোর্টার, ইয়াছিন আলী খান ::

প্রকৃতিতে এক নতুন রূপ এনে দেয় কৃষ্ণচূড়া ফুল। তীব্র তাপদাহের মধ্যেও আপন নিয়মে কৃষ্ণচূড়ার শাখা প্রশাখা সেজেছে রক্তিম সাজে। সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন পথে-প্রান্তরে ও স্থানীয়দের বসত বাড়ির আঙ্গিণায় শোভা পাচ্ছে এসব রক্তলাল ফুল সমৃদ্ধ অসংখ্য কৃষ্ণচূড়া গাছ এ যেন এক অপরুপ মনমুগ্ধকর ভালবাসার অনুভুতির ছোঁয়া। আর এসব কৃষ্ণচূড়া ফুলের নিজস্ব সৌন্দর্য উপভোগ করছেন ফুলপ্রিয় পথিক। প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়েছে কৃষ্ণচূড়ার জৌলুস।

 

সুনামগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, কৃষ্ণচূড়ার গাছে থোকায় থোকায় ফুল ফুঁটেছে। সবুজের বুকে শুধুই লালের রাজত্ব। দূর থেকে মনে হয় ময়ূর তার রাঙা পেখম মেলে ধরেছে প্রকৃতির মাঝে। লক্ষ্য করা গেছে, সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কসহ দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন বসতবাড়ির পাশে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সমারোহ।

 

কৃষ্ণচূড়া এক ধরনের বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ, যার ইংরেজি নাম ফ্লেম ট্রি (Flame Tree) এবং বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া (Delonix Regia)। এই গাছ চমৎকার পত্র-পল্লব এবং আগুনলাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের জন্য প্রসিদ্ধ। এটি ফাবাসিয়ি পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ।

 

আমাাদের দেশে সাধারণত বসন্তের শেষের দিকে এ ফুল ফোটে। কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটার আগে কলি দেখতে মোহরের মতো দেখায়, তাই হিন্দিতে এই ফুলকে বলা হয় গুলমোহর। প্রকৃতির শোভা বর্ধনকারী এ বৃক্ষের উচ্চতা তেমন একটা বেশি হয় না। সর্বোচ্চ ১২ মিটার পর্যন্ত উপরে উঠলেও তার শাখা প্রশাখা বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত থাকে। কৃষ্ণচূড়া পুরো গ্রীষ্ম ও বর্ষায় প্রকৃতিকে মাতিয়ে রাখে। বিভিন্ন দেশে এই ফুল বিভিন্ন সময়ে ফুটলেও বাংলাদেশে ফুটে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত। এই পুরো সময়টাতেই কৃষ্ণচূড়া প্রকৃতিকে মাতিয়ে রাখে উজ্জ্বল লাল আভায়।

 

সাহিদা নামে এক গৃহবধূ জানান, এই কৃষ্ণচূড়া ফুল লাল ও হলুদ রংয়ের হয়ে থাকে লাল রঙয়ের ফুলকে কৃষ্ণচূড়া ও হলুদ রঙয়ের ফুলকে রাধাচূড়া বলা হয়। তবে হলুদ রঙে রাধাচূড়া এখন তেমন দেখা যায় না বলেই চলে। আমাদের দেশে এপ্রিল মে মাসে ফুল ফোটে। বছরের অনান্য সময় এই ফুল বা গাছ সচরাচর চোখে না পড়লেও এপ্রিল মে মাসে যখনি গাছে নতুন পাতা বা ফুল ফোটা শুরু করে তখনি যেন পথচারির নজর কাড়ে মনোমুগ্ধকর এই কৃষ্ণচূড়া ফুল।

 

তিনি আরও বলেন, জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সড়কে এখন কৃষ্ণচূড়া ফুটে আছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় লাল চাদরের বিছানা মত। অপরূপ শোভায় শোভিত হয়েছে কৃষ্ণচূড়া। কাকলী, আসমা, সরলা নামের তরুণীরা জানান, এই সময় গ্রাম অঞ্চলে মাঝে মাঝে শুধু চোখে পড়ছে কৃষ্ণচূড়া ফুলের লাল আভা। প্রকৃতি যেন ফিরে পেয়েছে নতুন রূপ।

 

শামিম নামে এক শিক্ষার্থী জানান, কৃষ্ণচূড়া অবশ্যই প্রকৃতির শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ। তবে এর অনেক ভেষজ গুণ রয়েছে। যা আমাদের অনেকেরই অজানা। এছাড়া গ্রীষ্মের খরতাপে ছায়াদান করে কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments