Friday, November 8, 2024
Homeবিনোদনলাইফস্টাইলকর্মজীবনে দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয়

কর্মজীবনে দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয়

লাইফস্টাইল,

পেশাগত জীবনে সাফল্য পেতে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি চমকপ্রদ কিছু কাজ করে দেখাতে হয়। বাড়তি দায়িত্ব পালন করে দেখাতে পারলে সহজেই কর্তৃপক্ষের নজরে আসা যায়। আবার বৈচিত্র্য বা চমক দেখাতে না পারার কারণে অনেক সময় কর্মক্ষেত্রে সামনে এগোনো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই প্রথাগত কাজের পাশাপাশি কিছু দক্ষতা অর্জন করতে হবে, যা পেশাগত জীবনে বাজিমাত করবে। কী সেসব দক্ষতা? সেই বিষয়গুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

 

 

তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান: বর্তমান সময়ে প্রায় সবকিছুই তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর হয়ে গেছে। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজও প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে আপনি যে পেশা বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই যুক্ত হন না কেন, অবশ্যই তথ্যপ্রযুক্তি জানতে হবে। করপোরেট কোচের মুখ্য পরামর্শক যিশু তরফদারের মতে, ‘তথ্যপ্রযুক্তিগত জ্ঞান না থাকলে একজন পেশাজীবীকে একটি ক্ষেত্রে পঙ্গু হয়ে থাকতে হয়। পেশার ক্ষেত্র উন্নয়নে যা কখনোই ইতিবাচক বিষয় নয়।’ এ ক্ষেত্রে কম্পিউটারের সাধারণ ব্যবহারের পাশাপাশি ছোটোখাটো সমস্যা নিজে নিজে সমাধান করতে পারা, বাংলা ও ইংরেজি দ্রুত, নির্ভুলভাবে টাইপ করতে পারা, ইন্টারনেটের ব্যবহার যেমন ইমেইল করা বা তার উত্তর দেওয়া ইত্যাদি জানা জরুরি। পেশার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন সফটওয়্যারের ব্যবহার জানা, পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপনা করাটাও জানতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানেই তথ্যপ্রযুক্তির অজ্ঞতা এখন আর গ্রহণযোগ্য হবে না। সৃজনশীলতা: প্রযুক্তিকে যেমন অস্বীকার করা যায় না, তেমনি সৃজনশীলতাকেও মোটেই অবহেলা করা ঠিক হবে না। নতুন নতুন আইডিয়া বের করা, সেগুলো নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করার গুণ রপ্ত করতে পারা অন্যতম দক্ষতা। একই ধরনের কাজ অন্যরা সবাই করলেও আপনার কাজটি হবে অনেক নান্দনিক এবং চমকপ্রদ, তবেই আপনি কর্মক্ষেত্রে আলাদাভাবে গুরুত্ব পাবেন এবং প্রশংসার ভাগীদার হবেন। যোগাযোগের দক্ষতা: যোগাযোগ ছাড়া আমরা কেউই চলতে পারি না। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে চারপাশের মানুষের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে হয়। পেশার ক্ষেত্রে সফলতার জন্য যোগাযোগের কৌশল খুবই দরকারি। যে যত ভালোভাবে এ কাজ সম্পন্ন করতে পারে, তার কাজ করা তত সহজ হয় এবং এর ওপর নির্ভর করে সে সফলতার মুখ দেখতে পারে। সব পেশাতেই নিজেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থাপনা করার কৌশল খুবই দরকারি। বুঝতে হবে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ: যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করা হচ্ছে, সে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য কী। প্রতিষ্ঠানের চাওয়াইবা কী? এসব বিষয় সব সময় খেয়াল রেখে চলতে হয়। এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে। তাই প্রথমেই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কোন দিকে, তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। পেশার ক্ষেত্রে সফল হতে এটিও এক ধরনের কৌশল। ভাষাগত দক্ষতা: প্রতিটি পেশার ক্ষেত্রে দরকারি হলো ভাষাগত দক্ষতা। নির্ভুল ও স্পষ্টভাবে কথা বলার দক্ষতা খুবই জরুরি। বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভালো বলতে পারা ও লেখার দক্ষতা পেশাগত জীবনে নানাভাবে কাজে লাগে। এ ছাড়া যারা বিদেশি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে ইচ্ছুক, তারা প্রতিষ্ঠানভেদে বিভিন্ন দেশের ভাষা শিখতে পারেন। একাধিক ভাষা জানা থাকলে একদিকে যোগাযোগ যেমন সহজ হয়, অন্যদিকে কর্মক্ষেত্রে একটি ভালো অবস্থান তৈরি হয়। নেতৃত্বদানের ক্ষমতা: অন্যকে অনুপ্রাণিত করা বা অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুণ থাকলে সেটি সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে কাজ করবে। টিমওয়ার্ক বা দলগত কাজ: টিমওয়ার্ক বা দলগত কাজ করার ক্ষমতা পেশাগত জীবনে অন্যতম এক দক্ষতা। কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য বা ফলাফল অর্জনের জন্য যৌথ বা দলগতভাবে কাজ করতে হয়। সে ক্ষেত্রে যেমন দলের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিতে হবে, তেমনি নিজের মতামত বা যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে। পুরো কাজটা নিজের বা পুরো সাফল্যটা নিজের এমন মানসিকতা পরিহার করতে হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments