দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
দোয়ারাবাজারে বাড়ির রাস্তা কেটে দেওয়ার প্রতিবাদ জানালে প্রতিপক্ষ বেধড়ক মারপিটে এক পক্ষের গুরুতর আহত তিনজন এখনো হাসপাতাল বেডে কাতরাচ্ছে। মামলা রুজু হওয়ার এক সপ্তাহের বেশী দিন পেরিয়ে গেলেও মামলার মূল অভিযুক্তরা এলাকায় দিব্যও ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় সম্প্রতি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের মৃত আবুল কালামের পুত্র হারুন অর রশীদের বসত বাড়ির রাস্তা কেটে দেন একই গ্রামের মৃত আব্দুর রশীদের পুত্র আব্দুল জব্বার। এ ঘটনায় হারুন অর রশীদের মামা মৃত ফাইজ উদ্দীনের পুত্র আবুল হোসেন রাস্তা কাটতে বাধা নিষেধ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ তাদের আত্মীয় স্বজন সংঘবদ্ধ ভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নিরীহ হারুন অর রশীদ ও তার মামর ওপর হামলে পড়ে। কিছু বুঝে উঠার আগেই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রের আঘাত ওই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা এসে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান। এখনো তিনজন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবুল হোসেন জানিয়েছেন, মারধরে আমরা এখনো হাসপাতে চিকিৎসাধীন রয়েছি। ওই দিন তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দশ্য ছিল। পরে গ্রামবাসীর কারণে কোন রকম বেঁচে যাই। এ ঘটনায় মামলা এফআইআর হয়েছে, পুলিশ দু’জন কে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসামীরা এখনো গ্রেফতার হয়নি, তারা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে এবং মামলা তুলে না নিলে বিভিন্ন মাধ্যমে বাদী কে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমাদের ওপর হামলা ও মারধরকাী সকল অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ওসি মো. জাহিদুল হক বলেন, মামলা নিয়েছি এবং দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।