পিন্টু দেবনাথ, মৌলভীবাজার :
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় এবং হীড বাংলাদেশ এর বাস্তবায়নে কৃষি ইউনিট (কৃষি খাত) এর আওতায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় মুন্সীবাজার শাখার রামচন্দ্রপুর গ্রামে ব্রি ধান ১০২ এবং বিনা ধান ২৫ চাষের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ৬ মে মাঠ দিবসে থেকে বক্তব্য রাখেন কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার জয়ন্ত কুমার রায় , হীড বাংলাদেশ কৃষি ইউনিট এর কৃষি কর্মকর্তা সোহেল সিকদার,
হীড বাংলাদেশ মুন্সীবাজার শাখা ব্যবস্থাপক
রতন চন্দ্র সরকার ও কৃষান ও কৃষানীরা।
হীড বাংলাদেশ মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচির মুন্সীবাজার শাখার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মেঘনা -১ এবং মেঘনা-২ মহিলা সমিতির দরিদ্র সদস্যরা বলেন, হীড বাংলাদেশ থেকে নতুন জাতের ধান চাষের কৃষি উপকরণ বীজ, জৈব সার, রাসায়নিক সার, বালাইনাশক ও আর্থিক অনুদান পেয়ে কৃষি কাজ শুরু করে এ লাভবান হয়েছেন।
মেঘনা ২ মহিলা সমিতির সদস্য মিছবা বেগম মুন্সীবাজার শাখা থেকে নতুন জাতের ধান চাষের উপকরণ পেয়ে হীড বাংলাদেশ কৃষি ইউনিটের কৃষি কর্মকর্তা সোহেল সিকদার এর পরামর্শ মোতাবেক মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করেন। মেঘনা২ মহিলা সমিতির সদস্য মিছবা বেগম জানান, তার ৪ বিঘা জমিতে বিনা ধান ২৫ চাষ করে অনেক উপকার পেয়েছেন।
এছাড়াও নতুন কুড়ি সমিতির সদস্য শাহিন মিয়া বলেন, আমি ও হীড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় ব্রি ধান ১০২ চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছি এবং কোন রোগবালাই নাই।
তারা জানান, অন্যান্য জাতের ধানের তুলনায় বিনা ধান ২৫ এর ফলন অনেক ভাল এবং রোগ বালাই ও অনেক কম। তাই আশে পাশের লোকজন এই জাতের ধান চাষের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং তিনি সকলকে নতুন জাতের ধান চাষে উদ্বুধ করেন।এছাড়াও বলেন এই জাতের ধানের রোগবালাই ও পোকামাকড় আক্রমন কম তাই আমরা আগামীতে আরও বেশি পরিসরে এই জাতের ধান চাষ করব।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় বলেন ব্রি ধান ১০২ এবং বিনা ধান ২৫ জাতের ধানের ফলন ভাল হয় এবং আগামীতে যেকোন ধরণের কৃষি সহযোগীতার প্রয়োজন হলে সহযোগীতা করার আশ্বস্ত করেন।