Friday, June 13, 2025
Homeবিনোদনবিয়ের পর পুরুষদের সঙ্গে ফ্ল্যাট করেছি : মৌসুমী

বিয়ের পর পুরুষদের সঙ্গে ফ্ল্যাট করেছি : মৌসুমী

 

বিনোদন প্রতিবেদক :

ভারতের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। একসঙ্গে তিনি কলকাতার বাংলা এবং মুম্বাইয়ের হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।এই গুণী অভিনেত্রীর বড় বৈশিষ্ট্য হলো তিনি সবাইকে ‘আপনি’ বলে সম্বোধন করেন। কারণ তার গুরু তরুণ মজুমদার সবাইকে আপনি বলতেন। সেটি এখনও অনুসরণ করছেন তিনি। মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় অনেক নায়কের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। সেই ধর্মেন্দ্র থেকে শুরু করে জিতেন্দ্র কিংবা বিনোদ খান্না বা অমিতাভ বচ্চন কিংবা রাজেশ খান্না – এদের সবার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু শাহরুখ খানের কথা বলেননি তিনি।

 

অভিনেত্রী মৌসুমী বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার একটি পুরোনো বাড়িতে ‘আড়ি’ নামের একটি ছবির শুটিং করছেন। সে কারণে মুম্বাই থেকে এখন তিনি কলকাতায়। কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি শুটিংয়ের ফাঁকে জীবনের নানান গল্প বলেছেন অবলীলায়। তার সেই গল্পের চুম্বক অংশ নিয়েই এই প্রতিবেদন।

 

মৌসুমী বলেন, অনেকের সঙ্গেই কাজ করেছি। এক্ষেত্রে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে যখন কাজ করি, তখন তিনি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। শুরুর দিকে দেখতাম, সেটে শটের বাইরে চুপচাপ একলা বসে আছেন। আমার কেশসজ্জা শিল্পীর সঙ্গে বসে খাবার খাচ্ছেন। খুব কষ্ট করে বড় হয়েছেন, কিন্তু বড় হয়ে যে ভালো হয়েছে, তা নয়। অতিরিক্ত জিনিস পেলে ঠিক থাকে না মানুষ। এটা আমার কথা নয়; বড়রা বলে গেছেন। পুরাণেও তা-ই আছে। আতিশয্য এসে গেলে কারও উপকার করার কথা ভাবতেই পারেন না মানুষ।

 

অভিনেত্রীর বড় মেয়ে কম বয়সেই প্রয়াত হয়েছেন, সেই আঘাত কীভাবে সামলেছেন – এটা জানাতে তিনি বলেন, যদি আধ্যাত্মিক পথে থাকো, কিছু এসে – যাবে না। দুঃখকে আমি কখনো বড় করতে চাই না। নিজের আনন্দ, সুখ যদি কারও সঙ্গে শেয়ার করে নিতে পারো, তাহলে সেটি করো। মানুষ বলবে, ‘পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়। তিনি বলেন, আমার বড় মেয়ে পায়েলের মৃত্যুবার্ষিকী গেল কিছু দিন আগে। পায়েল খুব অল্প বয়সে চলে গেল; কিন্তু বেঁচে থাকলে আরও ভুগতে হতো ওকে। আমি এভাবেই নিজেকে বুঝিয়েছি। বাবা তো বলতেন, মৃত্যু একটা আশীর্বাদ। জীবন – মৃত্যু মেনে নিয়েই নিজেকে ভালো রাখতেই হবে।

 

বর্তমানের রিল বা শর্টস ভিডিও তৈরিকারীদের পছন্দ নয় মৌসুমী’র। বরং হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মতো সহজ মানুষের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, তার মতো মানুষ হয় না। ওই সাদা হাফহাতা শার্ট আর ধুতি। কেন জানি না মানুষ এগুলো শেখে না।

 

মেয়েদের সাজগোজ করা খুব পছন্দ অভিনেত্রীর। তিনি বলেন, মেয়েরা সাজলে হাসিখুশি লাগে। ব্যক্তিত্ব ও শিষ্টাচার চোখে পড়লেও ভালো লাগে। আমাদের সময় বিনোদ খান্না, ধর্মেন্দ্র উঠে চেয়ার এগিয়ে দিতেন। মৌসুমী বলেন, এখনকার অভিনেতারা কি হিট দিয়েছে কি দেয়নি, কি হাবভাব – চকলেট খাচ্ছে আর পা দোলাচ্ছে। তাদের ঘিরে আছে আবার বাউন্সারও। তিনি বলেন, আমাকেও বডিগার্ডের কথা বলা হয়েছিল। তবে আমার যা দেহ, তা রক্ষায় দেহরক্ষীর প্রয়োজন নেই।

 

আপনি অনেক নায়কের সঙ্গে কাজ করেছেন। কিন্তু শাহরুখের কথা বলেননি কেনো ? তিনি বলেন, শাহরুখকে আমি ততটা ভালো করে চিনি না। তবে আমির খান যেমন বলেছিল, ও আমার অনুরাগী। সাইফ আলি খানের সঙ্গে কাজ করেছি। তবে আমাদের মধ্যে একজন নায়ক ছিলেন, যে ভীষণ অহংকারী রাজেশ খান্না। এত পেয়েছে, মাথা ঠিক থাকবে কীভাবে।

 

জীবনে কোনো আক্ষেপ নেই উল্লেখ করে মৌসুমী বলেন, দুঃখটা আসলে তোমার হাতে, যতক্ষণ ধরে রাখবে রাখো, হাতে ব্যথা হবে তার পরও। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা কর, আমি যেন নিজেকে আনন্দে রাখতে পারি। আমি আজ আছি, কাল নেই। নিজেরা ভালো করে কাজ কর।

 

প্রেমজীবনের কাহিনি প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, আমি তো সবসময় প্রেম করি। আমার বর, আমি দুজনেই খুব রোমান্টিক মানুষ। আমার স্বামী তো বিয়ের পরও প্রচুর প্রেম করেছে। আমি তো প্রেম করার সময় পাইনি। তবে ফ্ল্যাট করেছি প্রচুর। শাবানা আজমি আমাকে বলেছে, ছয় বছর হোক কি ষাট বছর, মৌসুমী সবার সঙ্গে ফ্ল্যাট করে যাবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments