ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ছাতকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মানবাধিকার কর্মীর বাড়ীতে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলার অভিযোগ উঠছে। জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বুধবার দুপুরে ছাতক উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নে বড়চাল গ্রামের যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকে’র সভাপতি সাংবাদিক মুসলিম খানের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার বাড়ীতে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে।
হামলার জন্য ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মনু মিয়া ও তার ভাইদের দায়ী করেছেন মুসলিম খানের ছোট ভাই শামীম খান। তিনি অভিযোগ করে বলেন- পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বড়চাল গ্রামের মৃত রাশিদ আলী ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মনু মিয়া, একই গ্রামের গোলাম আলী উরপে জমসিদ মিয়ার পুত্র ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজাদ মিয়া উরপে চাঁদা সাজাদ, তার ভাই ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য আবদুল খালিক উরপে কালা খালিক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য আশিক মিয়ার নেতৃত্বে এলাকায় চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী এবং দখল বানিজ্য করে আসছে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতন হওয়ার পরও তাদের চাঁদা বানিজ্য ও দখলদার অব্যহত রয়েছে। বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বিশাল সভা-সমাবেশ ও সেমিনার করেন আমার বড় ভাই সাংবাদিক মুসলিম খান। সেই সময় দলীয় প্রভাব বিস্তার করে ঐ সব সন্ত্রাসীরা হামলা-মামলার ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে একাধিক বার চাঁদা নিয়েছে। এর ভিডিওসহ নানা ডকুমেন্ট রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়ীতে হামলা চালায়। এই খবর মুহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে ছাতক সেনাক্যাম্পের সেনাবাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসী মনু মিয়াকে ডেকে নিয়ে মুছলেখা দিয়ে ছেড়ে দেয় এবং জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ মিমাংসা করতে ৭ দিনের সময় বেধে দেয়।
এদিকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পরও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এমন কর্মকাণ্ডে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানানো হচ্ছে। একই সাথে এদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে রক্ষা পেতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জোর দাবী জানানো হয়েছে।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলার ঘটনাটি সেনাবাহিনীর মাধ্যমে আপোষে মীমাংসার জন্য মনু মিয়া ৭ দিনের সময় নিয়েছেন। ফলে আটকের পর তাকে মুছলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ৭ দিনের মধ্যে এর মীমাংসা না হলে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।