Sunday, July 27, 2025
Homeসিলেট বিভাগসুনামগঞ্জদোয়ারাবাজার উপজেলা খেয়াঘাটে যাত্রীছাউনি না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পারের জনগণ

দোয়ারাবাজার উপজেলা খেয়াঘাটে যাত্রীছাউনি না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পারের জনগণ

 

 

 

দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সুরমা নদী খেয়া পারাপারে যাত্রীছাউনি না থাকায় চরম ভোগান্তি রয়েছে দুই পারের জনগণ। এর ফলে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে।

রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে খোলা জায়গায় বসে খেয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এ ঘাটে একটি যাত্রীছাউনি নির্মাণের দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পারাপারের জন্য নদীর দুই পারের মানুষ তাঁদের দোয়ারাবাজার উপজেলা খেয়াঘাট এলাকায় নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

কেউ দোয়ারাবাজার উজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য, কেউ কলেজ বিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য, কেউ নিত্য প্রয়োজনে দোয়ারাবাজারে আসতে হয়। আবার কেউ বাড়ি ফিরতে

খেয়াঘাটে অপেক্ষা করতে হয়। আবার কেউ দীর্ঘদিন পর শহর থেকে বাড়ি ফিরছে। ঘাটটি নদীর পাড়ে হওয়ায়

আশপাশে কোনো বাড়িঘর নেই। বসার কোনো জায়গা নেই। যাত্রীরা রাস্তার পাশে এখানে-সেখানে রোদে বৃষ্টিতে ভিজে সময় কাটাচ্ছে।

বৃষ্টি হলে যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক সময় যাত্রীরা বৃষ্টির পানিতে ভিজে একাকার হয়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দোয়ারাবাজার উপজেলা ৩টি ইউনিয়ন সুরমা নদীর দক্ষিণ পারে হওয়ায় প্রায় শতাধিক গ্রামের লাখ লাখ মানুষ উপজেলা খেয়াঘাটে পারাপার করতে হয়। যাত্রীছাউনি না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। দক্ষিণ পাড়ের দোহালিয়া ইউনিয়নের প্রতাপ পুর গ্রামের কাজী মো. ফয়েজ মিয়া বলেন, খেয়ার জন্য বসে আছি। যাত্রীছাউনি না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। শুধু আমি না, এখানে যাত্রীছাউনি না থাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোর ও শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বৃষ্টি হলে ভোগান্তির শেষ থাকে না।’

বিএনপি নেতা কামাল আহমেদ বলেন, কোনো নির্দিষ্ট যাত্রীছাউনি না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে রোদ-বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে নৌকার জন্য অপেক্ষা করি। কবে নাগাদ যাত্রীছাউনির দাবি পূরণ হবে, তা-ও জানা নেই। তবে যত দ্রুত সম্ভব আমাদের জন্য যাত্রীছাউনি করে দিতে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ভুট্টো বলেন, খেয়াঘাটটি জেলা পরিষদের আওতাভুক্ত বিদায় আমাদের দায়িত্বের বাইরে। তবো খেয়াঘাটে যাত্রীছাউনী জরুরি। ইচ্ছে আছে বরাদ্দ পেলে যাত্রীীছাউনি করার।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments