Friday, June 27, 2025
Homeসিলেট বিভাগসিলেটঅ'বৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলনে ধ্বং*স হচ্ছে জাফলং

অ’বৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলনে ধ্বং*স হচ্ছে জাফলং

 

 

গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি:

গোয়াইনঘাট উপজেলার বাংলা বাজার, বালির হাওর, জাফলংয়ের জুমপার, ইসিএভুক্ত এলাকায় চলছে অবৈধ ভাবে বালু পাথর উত্তোলনের মহোৎসব। জাফলংয়ের ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যবেষ্টিত ‘জাফলং জুমপার’, স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘বরুনের জুং’, আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাঁধের দুই পাশে শ্যালো মেশিন ও ফেলুডার (বালু তোলার পাইপ মেশিন) দিয়ে দিনে রাতে অবৈধভাবে চলছে বালু ও পাথর উত্তোলন। এর মধ্যে জাফলং জুমপাড় বরুনের জুং, পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের বাংলা বাজার, বালির হাওর, জাফলং ডাউকী নদীর ইসিএভুক্ত এলাকা সহ আশেপাশে অবৈধভাবে শ্যালো মেশিন ও ফেলুডার দিয়ে বালু পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে জাফলংয়ের পরিবেশ।

স্থানীয়রা জানান, এসব কার্যক্রমের পেছনে রয়েছে কিছু রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহল, যারা প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

 

পরিবেশবাদীরা বলছেন, এখনই শক্ত পদক্ষেপ না নিলে জাফলংয়ের প্রাকৃতিক ভারসাম্য পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। একটি চক্র গত আগস্টের পর থেকেই ইসিএভুক্ত এলাকা জাফলং,বাংলা বাজার, বালির হাওর, পিয়াইন ও ডাউকী নদীর উৎসমুখ হয়ে জাফলং সেতু পর্যন্ত অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করছে। এতে মাঝেমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে দায়সারা অভিযান পরিচালনা করা হলেও অভিযানের কয়েক ঘণ্টা পর সেই আগের রূপ ফিরে পায় জাফলং নদী।

স্থানীয়রা আরো জানান,প্রশাসনের এমন দায়সারা অভিযান স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি করে। প্রতিদিন শত শত ট্রাক চলে যাচ্ছে বালু ও পাথর নিয়ে। নদী আর বাঁধের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা। পরিবেশবাদীদের দাবি, স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দ্রুত হস্তক্ষেপ ছাড়া জাফলংয়ের অস্তিত্ব রক্ষা সম্ভব নয়।

 

 

উল্লেখ্য, জাফলং শুধু একটি পর্যটন কেন্দ্র নয়, এটি এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানকার নদী, পাথর আর সবুজ পাহাড় সব কিছু আজ হুমকির মুখে বলে জানান সচেতন মহল।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী জানান,আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে জাফলং ইসিএ এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের কারণে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করেও পাথর খেকোদের থামানো সম্ভব হচ্ছেনা। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো(বিএমডি) এগিয়ে আসতে হবে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া স্থানীয় জনগণ আমাদের সহযোগিতা করছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments