নিজস্ব প্রতিবেদক,
সিলেটে বিএনপির মিছিল দেখে ‘আতঙ্কে‘ কালো কাপড় দিয়ে সাইনবোর্ড ঢেকে দিয়েছে ডোমিনোজ পিজ্জা। এসময় অনেক শপিংমল ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকানও বন্ধ রাখতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ঘটে এ ঘটনা।
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ৭ এপ্রিল সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল থেকে বাটা, কেএফসি, ইউনিমার্ট, ডোমিনোজ পিজ্জা ও হোটেল রয়েল মার্কসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর-লুটপাট চালানো হয়। একই ইস্যুতে বৃহস্পতিবার সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি।
এই মিছিল দেখে জিন্দাবাজার এলাকার সিটি সেন্টার, শ্যামলী, আল হামরা শপিং সিটির প্রধান ফটক ও সড়কের পাশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরমধ্যে বিএনপির মিছিলটি নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় ডোমিনোজ পিজ্জার সামনে এলে সঙ্গে সঙ্গে এর কিছু কর্মী কালো কাপড় দিয়ে সাইনবোর্ড ঢেকে দেয়। মিছিল যাওয়ার পর সেটি আবার তুলে দেন তারা।
তবে বিএনপির মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টা হয়ে আম্বরখানা পয়েন্টে এসে শেষ হয়। এসময় অনেক প্রতিষ্ঠানের সামনে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছিলেন।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সিলেটে ডোমিনোজ পিজ্জা কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, মিছিলের আগে বিএনপি নেতারা আমাদের জানিয়েছিলেন। মিছিল থেকে যাতে কেউ বিশৃঙ্খল কিছু করতে না পারে সেজন্য নজরদারি রাখতে সহযোগিতা চান তারা। এজন্য আমরা একটি টিম মাঠে রেখেছিলাম। আমাদের বাড়তি নজরদারি ও তাদের সহযোগিতা থাকায় শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলটি শেষ হয়েছে।
এদিকে ৭ এপ্রিলের ঘটনার পর থেকে নগরীতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সেদিনের ভাঙচুর ও লুটপাটের আতঙ্ক এখনো ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
এ বিষয়ে পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, সেদিনের ঘটনার পর আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। সেদিনই কিছু ঘটতো। ধর্মীয় ইস্যু থাকায় ব্যবসায়ীরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেননি। তারা ভেবেছিলেন প্রতিবাদ করলে লোকজন ভাববে ইসরায়েলের পক্ষে। সেজন্য অনেকেই এগিয়ে যাননি। তবে এখন আর তাদের মধ্যে কোনো আতঙ্ক নেই। আর কেউ নৈরাজ্য চালাতে পারবে না।
এদিকে লুটপাটের ঘটনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাটা, হোটেল রয়েল মার্ক ও ডোমিনোজ পিজ্জা কর্তৃপক্ষ পৃথক তিনটি মামলা করেছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ৯ শতাধিক ব্যক্তিকে।