সিলেট প্রতিনিধি,
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল থেকে বাটার শো-রুমে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অজ্ঞাত ৮০০-৯০০ জনকে আসামি করে এ মামলা করে বাটা কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (৯ এপ্রিল) বাটার সিলেটের এরিয়া ম্যানেজার মোস্তাকিম বিল্লাহ মামলা করেন।
ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এটি দ্বিতীয় মামলা। মামলায় ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ৮ এপ্রিল অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন রয়েল মার্ক হোটেলের ম্যানেজার (অপারেশনস) আব্দুল মতিন সরকার। মামলায় তিনি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় হোটেলের ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল করে হাজারো মানুষ। এসময় মিছিল থেকে বাটা, কেএফসি, হোটেল রয়েল মার্ক, ইউনিমার্ট, পিজ্জা হাট ও পিউরিয়াসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। একপর্যায়ে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে লুটপাটও করা হয়। সবচেয়ে বেশি লুটপাট হয় বাটার শো-রুমে।
ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় প্রথমে মামলা করে হোটেল রয়েল মার্ক কর্তৃপক্ষ। পৃথক দুটি মামলায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় বুধবার বাটার এরিয়া ম্যানেজার অজ্ঞাতনামা ৮০০-৯০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলায় ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।