লাইফস্টাইল ডেস্ক:
ঈদ মানেই আনন্দ। বিশেষ এই দিনে শুধু আনন্দই নয়, খাবারেও থাকে বিশেষত্ব। এদিন প্রায় সবার ঘরে ঘরেই থাকে বাহারি সব খাবার। তবে দীর্ঘ একমাস রোজা রাখার পর ঈদের দিন একসঙ্গে বেশি খাবার খেয়ে বিপাকে পড়েন অনেকেই। তাই আনন্দকে ভালোভাবে উপভোগ করার জন্য খাবারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘ দিন বিভিন্ন রোগে ভুগছেন (যেমন-পেটের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি বা লিভারের রোগ) তাদের বেশি সতর্ক থাকা জরুরি।
জেনে নিন ঈদের খাবার স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ রাখার জন্য যেসব সতর্কতা মেনে চলা উচিত-
>> দীর্ঘদিন রোজা রাখার পর হঠাৎ তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খেলে গ্যাস বা বদহজম হতে পারে। তাই ঈদের দিন সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার দিয়ে শুরু করা উচিত।
>> ঈদের দিন বাড়িতে তৈরি দুধ-সেমাই, পায়েস, পুডিং, ফালুদা, কাস্টার্ড জাতীয় খাবার পরিমিত পরিমাণে খেতে পারেন। তবে খাবার তৈরির ক্ষেত্রে কনডেন্সড মিল্ক, বাটার অয়েল, মেয়োনেজ, মার্জারিন, সাদা চিনি ইত্যাদি ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার না করাই উত্তম।
>>ডায়াবেটিস রোগীরা চিনি, গুড়, মধু এড়িয়ে চলুন। বিকল্প মিষ্টিকারক স্টেভিয়া ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া মিষ্টান্নের পরিবর্তে মৌসুমি রঙিন ফল এবং মিক্সড ফ্রুট সালাদ স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে।
> ঈদের দিন পোলাও, বিরিয়ানি, খিচুড়ি, তেহরি খুবই কমন খাবার। তবে যাদের শারীরিক জটিলতা আছে তারা এসব খাবারের পরিবর্তে সাদা ভাতের সঙ্গে একটি মাংসের পদ পরিমিত পরিমাণে খেতে পারেন। চাইলে মাছ বা ডিমের একটি পদ রাখতে পারেন।
>> হৃদরোগ, লিভার, কিডনির রোগ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদি রোগীরা প্রতিবেলায় ৫০ গ্রামের বেশি মাংস খাবেন না।