দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::
দোয়ারাবাজার উপজেলার হাওড়পাড়ে এক দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠে তামান্না আক্তার ঝুমা। দারিদ্রতার করালগ্রাসে লেখাপড়া করা হয়নি। গ্রামের প্রাইমারিতে ক্লাস সিক্সে উঠার পরই বাবা মায়ের সিদ্ধান্তে বিয়ে হয় উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের পানাইল নতুনপাড়া গ্রামের মৃত হাছন নুরের পুত্র সালমান নুরের সাথে বিয়ে হয় ঝুমা’র।
বিয়ের এক বছরের মধ্যেই অভাব অনটন টানাপোড়েন শুরু হয় সংসারে। স্বামীর চাপে তামান্না আক্তার বাবার কাছ থেকে একটি ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা ক্রয় করে দেন। এতেও শান্তি হয়নি সংসারে তামান্নার। যৌতুকের অজুহাতে কয়েকদিন পরপরই তাকে বেধড়ক মারধরসহ নানাভাবে অত্যচার নির্যাতন করে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন।
সংসার ছেড়ে এখন তিনি বাবার বাড়িতে অবস্থান করেছেন। স্বামীর সংসার করতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই কিশোরী।
সরজমিন গেলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, বাবার অস্বচ্ছল পরিবারে জন্ম নিয়ে লেখাপড়া করতে পারিনি। কিশোর বয়সে বিয়ে দিয়ে দেন এক রিক্সা চালকের কাছে। বিয়ের এক বছরের মধ্যেই সে যৌতুক দাবী করে আসছে। বাবার কাছ থেকে টাকা পয়সা না দিতে পারলে সে মারধর করে। সে ও তাট পরিবারের অত্যচারে ঘর ছেড়েছি আমি। আমি সংসারে ফিরতে চাই।