দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ আবু সালেহ মোঃ আলা উদ্দিন।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউপির নূরপুর, সোনাপুর এলাকায় সুরমা নদী থেকে সেনাবাহিনী ও দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
রবিবার (২৩ মার্চ) সকালে অভিযান কালে ৫টি স্টিলবডি নৌকা, ৫টি ছোট কাঠের নৌকার ৫টি ড্রেজার মেশিন সাথে ৮৫০ (আটশত পঞ্চাশ) ফুট বালু ও নগদ ১,২০,০০০/-(এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,বিশম্ভপুর ধন মিয়ার ছেলে রশিদ মিয়া (২৮) মৃত ময়না মিয়ার ছেলে আঃ শহিদ (৫২)মৃত আলতাফ আলীর ছেলে,সবুজ মিয়া (৩৮) আরব আলী ছেলে আলী (৩৫) মৃত মতি মিয়ার ছেলে আব্দুল করিম (৩০)মনফর আলীর ছেলে মোঃআব্দুল বাতেন (২৮) মোঃ ইসমাইল মিয়ার ছেলে মোঃ আসাদ মিয়া (২৮)মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন (৩৫)-মোঃ আঙ্গুর মিয়ার ছেলে মোঃ জিয়াউর রহমান (২৭)। মোঃ সুরত আলীর ছেলে ফাহিম আহমদ (২২)লোকমান হোসেনের ছেলে আশিকনুর (২৪)ওহিদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (১৮) ও মোঃ রইছ মিয়ার ছেলে মোঃ আল আমিন (২৫)
দোয়ারাবাজার উপজেলার সোনাপুর গ্রামের ইউনূস মিয়ার ছেলে আজিজুর রহমান (২২) সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার আব্দুল জলিলের ছেলে মুমিন মিয়া (২৫) জামালগঞ্জ উপজেলার কনু মিয়ার ছেলে জুনু মিয়া (২৫) মুর্শেদ মিয়ার ছেলে আঃ নুর (২০)মৃত সফর আলীর ছেলে আমির আলী (২৫) মতি মিয়ার ছেলে রাকিব হোসেন (২২) মোঃ রহম আলীর ছেলে মেহেদী হাসান (২৫)মতিউর রহমান ছেলে মহিতুর রহমান (২২) মোঃ আমিনের ছেলে মোঃ শাহিন আলম (২৩) আঃ গফুরের ছেলে মোঃ সাদির হোসেন (২২)
নূরপুর গ্রামের বাসিন্দা আনর আলী(৫০) বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পার ভেঙে যাচ্ছে, আমরা যারা নদীর পাড়ে বসবাস করি তাদের জন্য বালু উত্তোলন একটা আতংক।
সোনাপুর গ্রামের সমর উদ্দীন( ৪৮) বলেন, দীর্ঘদিন যাবত একটি মহল বালু উত্তোলন করে আসছে গ্রামবাসী বাঁধ দিলে হুমকি ধামকি দেয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ক্যাপ্টেন সোয়েব বিন আহমেদ জানান,আটককৃতদের মধ্যে সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আলতাফ আলীর ছেলে সবুজ, আরব আলীর ছেলে জানফর ও মৃত ময়না মিয়ার ছেলে আব্দুল শহীদ বালু উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। বালু উত্তোলন করতে উৎসাহ দেয়।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল হক বলেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।