সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি,
সুনামগঞ্জের দিরাই থানার পুলিশের তৎপর অভিযানে ডাকাত সদস্যদের পলায়নের চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং দুই ডাকাত সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
গত ১৮ মার্চ দিবাগত রাত (১৯ মার্চ) সোয়া ১২টার দিকে দিরাই থানার এসআই মো. মোহন মিয়া সঙ্গীয় ফোর্সসহ দিরাই-সুনামগঞ্জ সড়কের শরীফপুর এলাকায় রাত্রিকালীন টহলের সময় একটি ৩ টনের মিনি ট্রাক দেখতে পান। ট্রাকের সামনে ৩ ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকায় তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। পুলিশ এগিয়ে গেলে উক্ত ব্যক্তিরা হাওরের দিকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে পুলিশ সদস্য কনস্টেবল মামুনুর রশিদ মিনি ট্রাকটি তল্লাশি করতে উঠলে, ট্রাকের পিছনে অবস্থানরত ৩/৪ জন ডাকাত সদস্যসহ ওই পুলিশ সদস্যকে নিয়ে ট্রাকটি দ্রুত গতিতে সুনামগঞ্জের দিকে রওনা হয়। এসআই মোহন মিয়া ঘটনাটি দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করলে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের টহল দল অভিযানে নামে।
চলন্ত মিনি ট্রাকের পিছন থেকে পাথারিয়া বাজারের নিকটে ২ জন ডাকাত সদস্য এবং মদনপুর স্টিলের ব্রিজের নিকট থেকে আরও ১ জন ডাকাত সদস্য লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। রাত অনুমান ১২:৫৫ মিনিটে শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিনি ট্রাকটি একটি প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দেয়, এতে প্রাইভেট কারের চালকসহ তিনজন সামান্য আহত হন। পরবর্তীতে মিনি ট্রাকের চালক ও সহযাত্রী পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতার সহায়তায় পুলিশ তাদের আটক করে।
আটক দুই ব্যক্তি আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কনস্টেবল মামুনুর রশিদ সামান্য আহত হন এবং তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মিনি ট্রাকটি তল্লাশি করে ২টি রাম দা, ২টি লোহার পাইপ ও ১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন নুরুল আমিন (৩৮), সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানার ভান্ডা মল্লিকপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং ট্রাক চালক মোঃ শাহ আলম (৪০), টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানার ব্রাহ্মণ খোলা গ্রামের বাসিন্দা। ওই ডাকাত দল গরু চুরি ও ডাকাতির সাথে জড়িত। তারা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন জেলায় সংঘবদ্ধ চুরির পাশাপাশি ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও চুরির মামলা রয়েছে।
উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দিরাই থানায় পুলিশের কাজে বাধা দান ও ডাকাতির প্রস্তুতি সংক্রান্তে একটি মামলা রুজু করার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। পলাতক ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।