কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ
কানাইঘাটে ভূয়া জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক কর্তৃক হুমকী ধমকী প্রদানের বিষয় উল্লেখ করে উপজেলার চতুল সরুফৌদ গ্রামের নিজাম উদ্দীন দূর্ণীতি দমণ কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,ভূয়া এ প্রভাষক মোঃ আমিন উদ্দীন প্রতারণায় ধরা পড়ার পরও থেমে নেই। সে বাণিজ্যের জন্য নিজ এলাকায় কোচিং সেন্টার খুলে কোমলমতি শিক্ষার্থী সহ জনসাধারণকে ধোকা দিয়ে আসছে।
এবিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল বাধা নিষেধ দিলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে নানা ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। তার এসব দূর্ণীতি বন্ধের জন্য ও শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত এবং জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া প্রভাষক হিসাবে গত ১১ বছরে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা আত্মস্বাতের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সচেতন মহলের পক্ষে গত ২৭ ফেব্রæয়ারী এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
উল্লেখ্য কানাইঘাট উপজেলার চতুল সরুফৌদ গ্রামের আব্দুল লতিফ এর পুত্র মোহাম্মদ আলীম উদ্দীন ৬ষ্ঠ শিক্ষক নিবন্ধন পরিক্ষা-২০১০ এর নিবন্ধন সনদ যার রোল নং-৪২২১১০১০ রেজি নং- ১০০০০১০১২০ ব্যবহার করিয়া ব্যক্তির স্বার্থ সিদ্ধির জন্য অসৎ উপায়ে নিজেকে নিবন্ধিত প্রভাষক রুপে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজ পত্র তৈরী করেন এবং প্রায় ১৫ বৎসর থেকে জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী ডিগ্রি কলেজে কর্মরত রয়েছেন।
কিন্তু ২০২০ সালে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন বিভাগের সহকারী পরিচালক জেটিটিসি-নিসযা/২০২০/১৭৮(২)স্মারকমূলে সনদ যাচাই করে অভিযুক্ত আমিন উদ্দীনের ব্যাবহৃত রোল ও রেজি নং এর প্রকৃত সনদদারীর নাম স্বপন কুমার পাল,পিতা- নির্মল কুমার পাল প্রমাণিত হয়।
উক্ত বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ মোঃ আমিন উদ্দীনকে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক পদ হতে অব্যাহতি দেন।