ধর্ম ও জীবন বিধান ::
সেহরির খাদ্যতালিকা যেমন হওয়া উচিত
এখন পবিত্র রমজান মাস। এ মাসে সেহরিতে খাওয়ার পর আর সন্ধ্যায় মাগরিবে খাবার গ্রহণের মাধ্যমে ইফতার করা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা এভাবে রোজা পালনসহ নিয়মিত ইবাদত এবং অন্যান্য ধর্মীয় রীতি পালন করে থাকেন রমজানে। এ মাসে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রোজা রাখা। দিনভর পানাহার থাকার জন্য সেহরিতে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা জরুরি।
বিশ্বজুড়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা রমজানে রোজা পালন করেন। কিন্তু অনেকেই আছেন সেহরি খাওয়ার পর দিনের বেলায় শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করেন। কেউ কেউ ছোট ছোট বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাও উপলব্ধি করেন। অঞ্চলভেদে সেহরি থেকে ইফতারের সময় ১২ ঘণ্টারও কম থেকে শুরু করে ১৯ ঘণ্টা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ কারণে রমজানে সেহরি ও ইফতারে এমন খাবার খাওয়ার কথা বলা হয়―যা দিনভর শক্তি সরবরাহ করবে আপনাকে।
রমজানে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের গুরুত্ব নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। এবার তাহলে প্রতিবেদন অনুযায়ী সেহরির খাদ্যতালিকা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক―
রমজানে ক্লান্ত বোধ হয়: সেহরি হচ্ছে শেষ রাতে খাবার গ্রহণ করা। এ সময় এমন সব স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত, যা ইফতার পর্যন্ত আপনাকে যথেষ্ট শক্তি প্রদান করবে। খুব কম সংখ্যক মানুষই ইফতারের পর ক্ষুধা নিবারণের জন্য কিছু খাবার খায়, তারপর ঘুমায়। আবার সেহরি এড়িয়ে যায় এবং ইফতার পর্যন্ত ক্ষুধার্ত থাকে।
বেঙ্গালুরুর সাক্রা ওয়ার্ল্ড হাসপাতালের প্রধান ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট প্রাচী চন্দ্র বলেন, মনে রাখতে হবে যে সেহরিতে খাবার খাওয়া উচিত। বিশেষ করে রোজা শুরু হওয়ার আগ সময়ে। রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়া বা সেহরির ওয়াক্তে খাওয়া এড়িয়ে চলা পরদিন রক্তে শর্করার তীব্র সমস্যা করে থাকে। আবার মাথা ঘোরা, পানিশূন্যতার মতো সমস্যাও হতে পারে। এ জন্য সেহরির সময় খাবার খাওয়া এবং অবশ্যই তা সঠিক খাবার হতে হবে।
সেহরির খাবার কেমন হবে: সেহরির খাবার নিয়ে আগে থেকেই পরিকল্পনা থাকা উচিত। রোজায় সুস্থ থাকতে সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাশি বড় এক বাটি দুধ, দই বা সয়াদুধ, এক মুঠো লবণ ছাড়া বাদাম ও মৌসুমি একটি ফল রাখতে পারেন। অথবা দুধের সঙ্গে গম বা ওটসভিত্তিক কিছু খাবার, লবণ ছাড়া এক মুঠো বীজও রাখতে পারেন।
এছাড়া মাল্টিগ্রেইন ব্রেড বা ব্রাউন ব্রেড স্লাইসসহ স্ক্র্যাম্বলড ডিম বা পনির, অমলেট বা স্টিমড চিকেন, সসেজ ও এক বাটি রকমারি ফল রাখতে পারেন সেহরিতে। চাইলে অল্প পরিমাণ মাল্টিগ্রেইন ইডিলি-দোসা, সেভিয়ান ইত্যাদি রাখতে পারেন। সঙ্গে চাটনি স্প্রাউট ও ডিম রাখতে পারেন।