গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:
সিলেটের গোয়াইনঘাটে পুলিশের লাঠি চার্জে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় দু’জন মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা দুজনই পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা। আহত দুজন ব্যাক্তি হলেন উপজেলার ১২নং সদর ইউনিয়নের আলীর গ্রামের দিনমজুর ফয়জুল হকের ছেলে আল আমিন (২৩) ও ৪নং লেংগুড়া ইউনিয়নের সতী গ্রামের ছালিক আহমদের ছেলে এস এম রামিম আহমদ (২৪)।
জানা যায় ৬ মার্চ রাত অনুমান ১ ঘটিকার সময় গোয়াইনঘাট সবজি বাজার হতে মোটর সাইকেল যোগে বাড়িতে যাওয়ার পথে বাইপাস সংলগ্ন দুটি ব্রীজের মধ্যবর্তী স্থানে পোছালে সাইকেলের গতিরোধ না করে চলন্ত অবস্থায় কোন কিছু জিজ্ঞেস না করেই তাদের কে পুলিশ মারপিঠ শুরু করে। আল আমিনের মাথায় পুলিশের লোহার পাইপের আঘাতে মাথা ফেটে যায় ও শরীরের বিভিন্ন যায়গায় গুরুতর রক্তাক্ত ও ছেচা ফুলা জখম হয়। অপরদিকে ড্রাইভিংয়ে থাকা রামিম আহমদও পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর রক্তাক্ত ও ছেচা ফুলা জখম হয়। বর্তমানে আল আমিনের মাথায় চারটি সেলাই রয়েছ এবং সে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপরদিকে রামিম আহমদ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আছে।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে বলেন আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাই বাইপাস পয়েন্টে কে বা কাহারা ছিনতাই করছে। তাৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে কে বা কাহারা রাতের অন্ধকারে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জ্বিত হয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ করে এবং ঘটনাস্থলে আমরা একজন কে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করেছি। ঘটনাস্থলেই হটাৎ দুই জন মোটর সাইকেল আরোহী যাওয়ার পথে সন্দেহ বসত তাদের উপর অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। যার ফলে তারা দুজনই গুরুতর আহত হয় এবং এ ঘটনায় এ,এস,আই হাফিজ আহমদও আহত রয়েছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য তিনি আন্তরিক ভাবে দু:খ প্রকাশ করে প্রতিবেদক কে আশ্বস্ত করে বলেন আমি তাদের সার্বিক সহযোগিতা সহ চিকিৎসা খরচ চালিয়ে যাবো এবং প্রতিনিয়ত তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। তিনি আরো বলেন অতি দ্রুতই পুলিশের উপর আক্রমণকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব এবং আইনী বিষয় প্রক্রিয়াধীন আছে।