ধর্ম ও জীবন বিধান ::
ইয়াছিন আলী খান,
রোজা অবস্থায় অনিচ্ছায় বমি হওয়ার পর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে অর্থাৎ শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে রোজা রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এমন অবস্থায় রোজা ভেঙে ফেললে—সেই রোজার জন্য শুধু কাজা আদায় করলে হবে? নাকি কাফফারাও দিতে হবে?
অনিচ্ছায় মুখভরে বমি হলে রোজা ভাঙবে না। তবে ইচ্ছেকৃত মুখভরে বমি করলে—রোজা ভেঙে যাবে; আর মুখভরে না হলে ভাঙবে না। হাদিস শরিফে রাসুল (স.) ইরশাদ করেছেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে- তাকে সে রোজা কাজা করতে হবে না (অর্থাৎ তার রোজা ভাঙবে না)। আর যে ইচ্ছাকৃত বমি করবে, সে যেন রোজার কাজা করে। (তিরমিজি, হাদিস : ৭২০; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ৬/১৮০; আল-বাহরুর রায়েক : ২/২৪৭)
ইচ্ছেকৃত বমি করা হলো—মুখে আঙুল দিয়ে কোনো পদ্ধতিতে ইচ্ছেকৃত মুখভরে বমি করা। এভাবে রোজা ভেঙে যাবে। অনিচ্ছায় হলে বা ইচ্ছেকৃত মুখভরে না হলে রোজা ভাঙবে না। (ফাতাওয়া হিন্দিয়্যা, খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ২০৪; রাদ্দুল মুহতার, খণ্ড : ০২, পৃষ্ঠা : ৪২১)
যদি অনিচ্ছায় বমি হওয়ার পর কেউ রোজা রাখতে অপারগ হয়ে যায়, তাহলে সে রোজা ভঙ্গ করতে পারবে। এক্ষেত্রে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে, কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না। কাফ্ফারা শুধু ওইসব স্থানেই ওয়াজিব হয়ে থাকে, যে সমস্ত স্থানে শরয়ি ওজর ব্যতীত রোজাকে ভঙ্গ করা হয়ে থাকে।