Sunday, March 9, 2025
Homeইসলামমসজিদের ফান্ডের টাকায় ইফতার আয়োজন করা যাবে?

মসজিদের ফান্ডের টাকায় ইফতার আয়োজন করা যাবে?

ধর্ম ডেস্ক,

 

রমজান মাসকে আনন্দদায়ক করতে দেশের বিভিন্ন মসজিদে ইফতারের আয়োজন করা হয়। এতে এলাকাবাসীও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করেন। মসজিদের ইফতারের আয়োজনগুলো অনেক সময় মসজিদ কমিটির ব্যক্তিগত উদ্যোগে হয়ে থাকে। কখনো কখনো মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের থেকে ইফতার আয়োজনের জন্য টাকা তুলে ইফতার করানো হয়।

 

তবে কোনো মসজিদে যদি কখনো মসজিদের দানের ফান্ড থেকে ইফতারের আয়োজন করা হয় তাহলে তা জায়েজ হবে কিনা, এ বিষয়ে ইসলামি চিন্তাবিদদের মতামত হলো—

 

মসজিদ ফান্ডের টাকা মসজিদের খরচের বাইরে অন্য খাতে ব্যয় করা যাবে না। বরং ইফতার করানোর জন্য পৃথক ফান্ড গঠন করতে হবে। কেননা, এক খাতের দান অন্য খাতে খরচ করা নিষেধ। (ফাতহুল কাদীর ৬/২৬৮)

 

হাদিস শরিফে এসেছে, ওমর রা. একটি খেজুর বাগান ওয়াকফ করতে চাইলে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে বলেছিলেন, তুমি মূল সম্পত্তিটি এভাবে দান কর যে,

 

لاَ يُبَاعُ وَلاَ يُوهَبُ وَلاَ يُورَثُ، وَلَكِنْ يُنْفَقُ ثَمَرُهُ

 

তা বিক্রি করা যাবে না, কাউকে দান করা যাবে না এবং এতে উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। এর থেকে উৎপন্ন ফলফলাদি (নির্ধারিত খাতে) ব্যয় হবে। এরপর উমর রাযি. তা ঐভাবে দান করেছিলেন। (সহীহ বুখারী ২৭২৪)

 

ইফতারের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত। রোজা শেষে নবী (সা.) ইফতার করতেন। সাহাবায়ে কেরাম ইফতার করতেন। আলকামা ইবনে সুফিয়ান ইবনে আবদুল্লাহ সাকাফি স্বীয় পিতা থেকে বর্ণনা করেন, ‘আমরা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাসুল (সা.)-এর সাক্ষাতের জন্য আসতাম। তিনি আমাদের জন্য মুগিরা ইবনে শোয়ার ঘরের পাশে দুইটি তাঁবু টানিয়ে দিতেন। বেলাল (রা.) আমাদের কাছে ইফতার নিয়ে আসতেন। আমরা জিজ্ঞেস করতাম, বেলাল, রাসুল (সা.) ইফতার করেছেন? বেলাল (রা.) বলতেন, হ্যাঁ, আমি তোমাদের কাছে রাসুল (সা.)-এর ইফতার করার পরই এসেছি এবং আমরাও খেয়ে এসেছি।’ (আল মুজামুল কাবির লিত-তাবরানি, হাদিস : ৪২০০)

 

সারা দিন রোজা রাখার পর রোজাদারের জন্য ইফতারের মুহূর্তটা পরম আনন্দের। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী কারিম (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ। একটি আনন্দ হচ্ছে যখন সে ইফতার করে। আরেকটি হচ্ছে যখন সে প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭৬৬)

 

ইফতারের সময় রোজাদারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইফতারের সময় প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন রাত সেখান (সূর্য বের হওয়ার স্থান) থেকে চলে আসে এবং দিন (সূর্য অস্ত যাওয়ার স্থান) থেকে চলে যায় এবং সূর্য ডুবে যায় তখন রোজাদার রোজা খুলে ফেলবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯৫৪)

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments