বিশেষ প্রতিনিধি,
মাইকে ঘোষণা দিয়ে এবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সাকরাইল ও মুলিয়া গ্রামের লোকজন।
টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক বন্ধ করে দিয়ে সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ইটপাটকেল নিক্ষেপ, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রসহকারে চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা।
এ সময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় ৭০টি দোকানপাট। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, বিএনপির সাবেক নেতা শুকুর মাহমুদ, শফিকুল ইসলাম, মোবারক হোসেন, তানভীর, বিপ্লব, জয়, জাহান, শাহিনুর ইসলাম ও শফিকুর রহমান।
পুলিশ এবং স্থানীয়রা জানান, রোববার একটি ওরশে মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই মারামারির মীমাংসার জন্য সোমবার শোলাকুড়া বাজারে সালিসি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। পরে ওই বৈঠকে চলাকালে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদের মাথায় হঠাৎ একটি ইটের ঢিল মারা হয়। এতে মুলিয়া ও সহদেবপুর গ্রামের মানুষজন সাকরাইল গ্রামের মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে দফায় দফায় চলে সংষর্ষ। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে প্রায় ৭০টি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। আহত হয় উভয়পক্ষের ১৫ জন। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
আহত বিএনপির সাবেক নেতা শুকুর মাহমুদ বলেন, আমি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সালিস করে থাকি। সালিসি বৈঠকে বসার পর স্থানীয় কিছু ছেলে হঠাৎ করে আমার মাথায় একটি ইটের টুকরো ছুড়ে মারে। পরে মাথা থেকে রক্ত বের হওয়া দেখতে পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য চলে আসি।
এ বিষয়ে কালিহাতি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।