ক্রীড়া প্রতিবেদক,
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে বড় হার দিয়ে শুরু হয়েছে আসর। সেই ম্যাচে বুঝে ওঠার আগেই পিচ থেকে ফিরে আসতে হয়েছে ৫ জন ব্যাটসম্যানকে। অবশ্য জাকের আলী আর তাওহীদ হৃদয়ের জুটি এবং তাওহীদ হৃদয়ের সেঞ্চুরীটাও সেই ম্যাচে একটা বার্তা দিয়েছে।
বার্তাটি হলো—রান করা সম্ভব ছিল। পরের ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারতও সেটাই প্রমান করেছে। যদিও খেলাটি ছিল দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। আর বাংলাদেশের আজকের ম্যাচটি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। ম্যাচ যেখানেই হোক না কেন মূল বিষয় আপনি ছন্দে আছেন কি না। সেই প্রশ্নটিই যদি করে, তবে বাংলাদেশের টপ ওয়ার্ডারের ব্যাটসম্যানরা খুব একটা ছন্দে নেই তা গত ম্যাচেই বোঝা গেছে। তবে ক্রিকেট যেকোনো সময় যে কেউ ফিরে আসতে পারে। তাই এটি নিয়ে বিতর্কে না যাওয়াই ভালো।
রান প্রসঙ্গ এলো মূলত টনি হেমিংয়ের কথায়। তিনি যে ধারণা দিলেন, তাতে আজ বাংলাদেশ—নিউজিল্যান্ড ম্যাটি রানবন্যায় ভাসতে পারে। এখন নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশকে রানবন্যায় ভাসাবে, নাকি বাংলাদেশ ভাসাবে নিউজিল্যান্ডকে, সেটাই দেখার বিষয়।
টনি হেমিং বিসিবির চাকরি ছেড়ে সাত-আট মাস হলো পিসিবির প্রধান কিউরেটরের দায়িত্বে আছেন। এই আসরের উইকেট তার ফর্মূলাতেই করা হয়েছে। সেই হেমিং যখন বলছেন, রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের উইকেট হতে পারে ব্যাটিং-স্বর্গ। হেমিংয়ের এই কথায় বিশ্বাস না রেখে উপায় কি!
গত ডিসেম্বরে ঘেরোয়া ক্রিকেটের খেলা টানা অনুষ্ঠিত হয়েছে এই পিচে। তখন ঘাস ছিল না, কিন্তু এখন এই উইকেট অনেকটািই সবুজ।
আমিরাত আর পাকিস্তান মিলিয়ে হওয়া এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রপিতে গতকাল পর্যন্ত ৫ ম্যাচের তিনটিই তিন শর বেশি রান দেখেছে। দেখে ৮টি সেঞ্চুরীও। আবার লাহরো ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩৫১ রান তাড়া করেও জয় দেখেছে অস্ট্রেলিয়া।
হেমিংয়ের দেওয়া পূর্বাভাসে সাড়ে ৩শ রানও নিরাপদ হবে না রাওয়ালপিন্ডির উইকেটে। বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্সেরও একই ধারণা। কাল সংবাদ সম্মেলন করে কোচ বলেছেন, ‘এটাপ বড় রানের মাঠ এবং সেটা আমরা কাল লাহোরেও দেখেছি। কাজেই বড় রান করাই আমাদের লক্ষ্য। রান করতে হবে তিন শর বেশি।’
রান আপনি যাই করুন না কনে, শেষ কথা আপনাকে জিততে হবে। সেই জয়ের আশাতেই আজ বিকেল তিনটায় রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নামবে শান্ত বাহিনী।