Tuesday, April 1, 2025
Homeশিক্ষাদোয়ারাবাজারে প্রধান শিক্ষিকার বি*রুদ্ধে স্কুলফাঁকির অভি*যোগের তদন্ত

দোয়ারাবাজারে প্রধান শিক্ষিকার বি*রুদ্ধে স্কুলফাঁকির অভি*যোগের তদন্ত

 

 

দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

 

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের বাদে গোরেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাজী সাজেদা আক্তারে বিরুদ্ধে স্কুল ফাঁকিসহ এলাকাবাসীর উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগ সরেজমিন তদন্ত করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

আজ বুধবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দিন মোহাম্মদ বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে সরেজমিন তদন্ত করেন৷

এর আগে, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শতাধিক অভিভাবক ও এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর দায়ের করা হয়।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নানা অজুহাতে মাসের অর্ধেকের বেশি সময় বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন প্রধান শিক্ষিকা। এছাড়া বিদ্যালয়ের পড়াশোনার খবরাখবর রাখেন না তিনি। ফলে দিন দিন কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

এতে আরও বলা হয়, বিদ্যালয়ের পাঠদান সকাল ৯ টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় ১০ টা পরে। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকা আসেন ১১টা থেকে ১২ টায়। আসলেও ২ টার পর চলে যান।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নিয়মিত শ্রেণি কক্ষে পাঠদান না করার কারণে পড়ালেখা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে অভিভাবক ও স্থানীয়দের সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেন না প্রধান শিক্ষিকা।।

অভিভাবক হাজী আব্দুন নুর অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষকের অসদাচরণে তারা অতিষ্ঠ এবং তিনি ইচ্ছেমাফিক স্কুল করেন। সরকার নির্ধারিত সময়ের পরিবর্তে কখনো সকাল ১১ কিংবা দুপুর ১২ টায় স্কুলে আসেন আবার ২ টা না পেরুতেই স্কুল ত্যাগ করে চলে যান। এমন শিক্ষক আমরা চাই না। অতিদ্রুত বদলি করার দাবি করছি।

সাবেক ইউপি সদস্য নুর উদ্দিন বলেন, প্রায় ৩৩ বছর থেকে একি পরিবারের ৩ জন এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা যোগদানের শুরু থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন। নিয়মিত স্কুলে আসেন না। তাকে বদলি করা প্রয়োজন।

দোয়ারাবাজার উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দিন মোহাম্মদ বলেন, এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষিকাকে নিয়ে একটি অভিযোগ করেছেন। তার পেক্ষিতে সরেজমিনে এসে তাদের কথা শুনি। তারা দাবি করেন, এই প্রধান শিক্ষিকাকে বদলি করতে হবে। দাবির ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন পাঠাবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ ইল্লাছ উদ্দিন, বুরহান উদ্দিন, মিজাম উদ্দিন ,শাকিল মিয়া, আল আমিন, জসিম উদ্দিন, প্রমুখ।অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাদে গোরেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাজী সাজেদা আক্তার বলেন, আমি যোগদানের সময় থেকেই সুন্দর করে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছি। এমন অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে অহেতুক তোলা হয়েছে। তার পরেও আমার ভুল হয়ে থাকলে উপস্থিত সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমার কোনো ভুল থাকলে সেটা সংশোধন করার চেষ্টা করব।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments