Thursday, March 13, 2025
Homeসিলেট বিভাগহবিগঞ্জহবিগঞ্জে দলবদ্ধভাবে নারীর মুখে বিষ ঢেলে হ*ত্যার চেষ্টা, ১৫ দিনেও আ*সামি গ্রে*প্তার...

হবিগঞ্জে দলবদ্ধভাবে নারীর মুখে বিষ ঢেলে হ*ত্যার চেষ্টা, ১৫ দিনেও আ*সামি গ্রে*প্তার নেই

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক,

 

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় দলবদ্ধভাবে সায়রা খাতুন নামের এক নারীর মুখে বিষ ঢেলে হত্যা চেষ্টা এবং মারধরের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার ১৫ দিনেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। সহযোগিতাও করছে না। আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানা মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী নারীর। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী ওই নারী সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে ও হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন।

গত ৯ জানুয়ারি মাধবপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মৃত মছলন্দ আলীর স্ত্রী সায়রা খাতুন হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্রুত বিচার) আমল আদালতে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে মাধবপুর থানার ওসি দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি রেকর্ড করেন। মামলায় ৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

আসামিরা হচ্ছে- দুর্লভপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মো. কামাল হোসেন, কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মো. আবু মিয়া, চৈতন্যপুর গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে আসাদুজ্জামান উছমান, ভবানীপুর গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে আমান উল্লা আমান, আব্দুল মজিদ, মৃত মছলন্দ আলীর ছেলে নিম্বর আলী, দুর্লভপুর গ্রামের মো. মিলন মিয়ার ছেলে আব্দুস ছামাদ, শ্রীধরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে মো. আলামিন, দুর্লভপুর গ্রামের মাছুম মিয়া, মনতলা গ্রামের মো. জয়নাল মিয়ার ছেলে মো. রাসেল মিয়া, ভবানীপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে আলফু মিয়া প্রমুখ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মাধবপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মৃত মছলন্দ আলীর স্বাক্ষর জাল করে ৫৯ শতক ভূমি (জাল দলিলের মাধ্যমে) একই উপজেলার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মুহিত মিয়া তার পিতার নামে আরএস পর্চায় অর্ন্তভূক্ত করেন। বিষয়টি নিয়ে মছলন্দ আলীর ছেলে আলী আকবর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কগ-৬ আসালতে সিআর ৫৫১/২০২৪ইং ও সহকারী জজ আদালত হবিগঞ্জে স্বত্ব মামলা নং- ২৬৯/২০২৪ইং (মাধবঃ) দায়ের করেন।

দুটি মামলা বিচারাধীন আছে। এঅবস্থায় মৃত মছলন্দ আলীর স্ত্রী সায়রা খাতুন তার স্বামীর জায়গায় বসবাস করতে গেলে অ্যাডভোকেট মুহিত মিয়া ও আসামিরা সায়রা বেগম ও তার সন্তানদের হত্যার হুমকি দিচ্ছিল। গত ৭ জানুয়ারি সকালে আসামিরা দলবদ্ধভাবে সায়রা খাতুনের বসতঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর আসামিরা দলবদ্ধভাবে অস্ত্রের মুখে সায়রা খাতুনকে মারধর করে গলায় ছুরি ধরে। পরে তার মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা চালায়।

এসময় আসামিদের মারধরে গুরুতর আহত হন সায়রা খাতুন। পরে স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিম সায়রাকে উদ্ধার করে।

এঘটনায় তিনি প্রথমে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরবর্তীতে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।মামলার বাদী সায়রা খাতুন বলেন, অ্যাডভোকেট মুহিত মিয়া জাল দলিল করে আমার স্বামীর জায়গা দখল করে রেখেছে দীর্ঘদিন ধরে। আগে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় আওয়ামী লীগের দাপট দেখি জায়গা দখলে রাখেন। আমরা আদালতে স্বত্ব মামলা করি।

মামলার রায় আমাদের পক্ষে আসার সম্ভাবনা দেখে অ্যাডভোকেট মুহিত মিয়া ভাড়াটে লোকজন দিয়ে আমাদের হত্যার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমাদের হত্যা করলে তিনি জায়গা দখলে রাখতে পারবেন। যেদিন আমার ঘরে হামলা করে হত্যার চেষ্টা করা হয় সেদিন মুহিতের দুই ভাই সাথে ছিলেন।

মামলা করেছি আজ প্রায় ১৫ দিন হয়। পুলিশ কোনো সহযোগিতা করছে না। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। আসামিরা নানা মাধ্যমে আমাদের হত্যার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। খুব আতঙ্কে দিন-পার করছি।মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. মাহবুবুর রহমান রবিবার রাতে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments