রামকৃষ্ণ তালুকদার বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বহুগুণে গুণান্বিত সফল নারী উদ্যোক্তা, রন্ধনশিল্পী, লেখক, সম্পাদক, উপস্থাপক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হাসিনা আনছার বর্তমান সময়ের রন্ধন শিল্পের রান্না বিষয়ক রেসিপির একজন সেরা আইকন। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কন্যা সন্তান হাসিনা আনছার একজন মেধাবী সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। তিনি রন্ধন শিল্পে বিভিন্ন রান্না বিষয়ক রেসিপির নতুনত্ব ম্যাজিক তৈরী করেন যা রাধুনিদের মাঝে চমক এনে দেয়। তাহার সেরা রেসিপির মাঝে বেশ কয়েকটি রেসিপি দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে তা নিম্নে প্রদত্ত করা হলো যথাক্রমে, আপেল বীফ বিরিয়ানি, বীফ ইয়াখনি বিরিয়ানি, বীফ বল কাবাব ইন গ্রেভী, বীফ ক্রিমি বোটি, বীফ ঝাল ফ্রায়েজী, বিফ ক্যাশনাট সালাদ, বীফ সাসলিক, বীফ সিজলিং, বীফ ভুনা খিচুড়ি, চটপটি, ক্রিসপি ফ্রাইড বীফ, দুধের গাজরালা, হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি, হালিম, খাসির মাথার রেজালা, পাকা আমের স্কোয়াশ, মটন মগজ ফ্রাই, মিট লাইস জুস, নারগিসি কোফতা বিরিয়ানি, রাইস নাট সালাদ, সাদা কড়াই মাংস, সেমাই এর শির খুরমা ও শিক কাবাব উল্লেখযোগ্যভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তিনি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনলাইন এবং অফলাইনে বিভিন্ন ধরণের রান্নার রেসিপির প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার, কর্মশালা ও আলোচনা করে যাচ্ছেন এবং নিয়মিত রান্না বিষয়ক রেসিপি লিখে যাচ্ছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করে নানা ধরণের রান্নার রেসিপির কৌশল দেখাচ্ছেন। তাহার মজাদার সুস্বাদু রান্নার খাবারের মান এতো জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তা অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার। তিনি দেখতে যেমন স্মার্ট, নম্র, ভদ্র, শান্ত-শিষ্ট, অমায়িক ব্যবহারের অধিকারী, ঠিক তেমনি তাহার প্রতিটি কাজকর্মের প্রশংসা দিনদিন বেড়েই যাচ্ছে। স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা তাহার অন্যতম শখের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের যত রন্ধনশিল্পী আছে তাহার মাঝে তিনি একজন সর্বশ্রেষ্ঠ সফল রন্ধনবিদ। তিনি সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজ নামে নারীদের কল্যাণার্থে ২০২০ সালে গড়ে তোলেন নাহার নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এবং দেশসেরা রন্ধনশিল্পী হিসেবে ২০১৬ সালে গড়ে তোলেন নাহার কুকিং ওয়ার্ল্ড। তিনি এই “আনন্দ আলো ঈদ রান্না” রেসিপি বইটিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্নার কৌশল পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এতো সুন্দর, সহজ-সাবলীল ভাষায় লিপিবদ্ধ করেছেন যা উক্ত বইটি পাঠ করে জানতে পারলাম। ঐতিহ্যগত দিক থেকে এবং পূর্ব প্রজন্ম থেকে বর্তমান প্রজন্মের যেসকল উপাদেয় খাদ্য আমরা খাই তা প্রাচীনকালে এতো মজাদার ছিল কি না আমার মনে হয় না। তবে তাহার রেসিপিগুলো দেখে মনে হচ্ছে যেন মুখে স্বাদ লেগে আছে এবং ঘ্রাণে ভরপুর। বর্তমানে দেশি-বিদেশি যেসকল রেসিপি আমাদের সমাজের নারীরা তৈরী করে আসছে তাহার মাঝে হাসিনা আনছারের রেসিপি গুণে মানে অনন্য এবং অতুলনীয়।
পরিশেষে, সুশীল সমাজের কাছে বিনীত অনুরোধ রইল, তাহার মজাদার রেসিপিগুলো আপনারা সংগ্রহ করে পরিবেশন করবেন। আমি আশাবাদী, এই রান্নার রেসিপি বইটি হাসিনা আনছারের একটি শ্রেষ্ঠ রেসিপির অনবদ্য সৃষ্টির ফসল। এই বইটির দ্বারা দেশে-বিদেশের অঞ্চলভিত্তিক সকল রেসিপিগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। রন্ধন শিল্পের ইতিহাসে রান্নার জন্য শ্রেষ্ঠ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে হাসিনা আনছারের “আনন্দ আলো ঈদ রান্না” রেসিপি বইটি।