Friday, March 21, 2025
Homeসিলেট বিভাগসুনামগঞ্জদোয়ারাবাজারে কালভার্ট ভেঙে গর্ত,চলাচলে ঝুঁকি

দোয়ারাবাজারে কালভার্ট ভেঙে গর্ত,চলাচলে ঝুঁকি

 

 

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের বাংলাবাজার ইউনিয়নের বড়খাল জাহাঙ্গীরগাও থেকে উস্তেঙ্গেরগাও হয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়কের উত্তর উস্তেঙ্গেরগাও এলাকায় কালভার্টের স্ল্যাব ভেঙে গর্ত তৈরি হয়েছে।

এতে বড়খাল স্কুল এন্ড কলেজ, জাহাঙ্গীরগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, এলাকার মানুষ ও যান চলাচলে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। গর্তের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট দিয়ে মোটরসাইকেল, ভ্যান ও ইজিবাইকে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও পথচারীরা। বিশেষ করে রাতে কালভার্ট দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে কমবেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ইউনিয়নের বড়খাল স্কুল এন্ড কলেজ, জাহাঙ্গীর গাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,উস্তেঙ্গেরগাও যাতায়াতের অন্যতম প্রধান সড়ক এটি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে উস্তেঙ্গেরগাও এলাকায় নির্মিত কালভার্টটির মধ্যভাগের ঢালাই প্রায় ৫ বছর আগে ভেঙে গেছে সাইডে ভেঙে রড বের হয়ে পড়েছে। এতে ছোটবড় যান চলাচলে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

এতে এলাকাবাসীসহ শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা এই কালভার্ট দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। কালভার্টটি ঠিক না করা হলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ৩ কিলোমিটার কাচা রাস্তাটি পাকাকরণসহ কালভার্ট মেরামতের জন্য উপজেলা এলজিইডির সুদৃষ্টি প্রার্থনা করছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান জানান, বড়খাল টু উস্তেঙ্গের গাও হয়ে ব্রিটিশ রোডে সংযোগ রাস্তার ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি অল্প বৃষ্টি হলেই হাঁটু কাদায় পরিণত হয়। কাদা হওয়ায় ওই রাস্তা দিয়ে মানুষ উপজেলা ইউনিয়ন ও বাজারে যেতে পারেনা।

ওই রাস্তা দিয়েই কোমলমতি শিশুরা প্রাইমারি স্কুলে যাতায়াত করে। কর্দমাক্ত রাস্তার কারণে অনেকেই পিছলে পড়ে যায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা এই কালভার্ট দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন।

স্থানীয় নওশাদ আহমেদ বিজয় জানান, মাত্র ৩ কিলোমিটার কাচা রাস্তার কারণে গ্রামের বাসিন্দারা চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগন্তিতে পড়ছেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিষয়টি বারবার জানানো হলেও কাঁচা রাস্তাটি আজ অবধি পাকাকরণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। কালভার্টটি ঠিক করা না হলে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেন বলেন, ‘খুব দ্রুতই কালভার্ট ভেঙে নতুন করে করা হবে ইনশাআল্লাহ তবে ইউনিয়নের মাধ্যমে ৩ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের কোনো সুযোগ নেই। সুযোগ থাকলে অনেক আগেই জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে পাকাকরণের উদ্যোগ নেওয়া হতো।

এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, কালভার্টের স্ল্যাব ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি অবগত আছি,বাজেট হাতে আসলেই কালভার্ট নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে এই সংবাদদাতাকে আশ্বাস দিয়েছেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments