দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ মোঃ রণি আহমদ,
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের কাউয়ারঘর গ্রামের আকবর আলী নামের এক অসহায় দিনমজুরের জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মারফত আলী কবিরাজ নামের এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে । এব্যাপারে সুষ্ঠু বিচার চেয়ে দোয়ারাবাজার সেনা ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন আকবর আলী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৩০ জানুয়ারি কাউয়ারঘর গ্রামের মোঃ বাকর আলীর কাছ থেকে সাড়ে সাত শতক বসতভিটার জমি ক্রয় করে ঘরবাড়ি তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন একই গ্রামের মৃত রাশিদ আলীর পুত্র আকবর আলী। যার দলিল নম্বর ৪৯৯, পরবর্তীতে একই জমি আকবর আলীর সুবিধামতো মুক্তিপত্র দলিল রেজিস্টার করে দেওয়ার মৌখিক কথা ছিলো বিক্রেতার সাথে।
গত একবছর পূর্বে জমির খাজনা বাবদ ৩০ হাজার টাকাও পরিশোধ করেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি জমি বিক্রেতা বাকর আলী তাঁর তিন সন্তান মিছির আলী, মারফত আলী ও জায়ফর আলীর চাপে এখন পর্যন্ত জমির ক্রেতা আকবর আলীকে তার ক্রয়কৃত জমির মুক্তিপত্র দলিল হস্তান্তর করেননি। এব্যাপারে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার শালিস বিচার করেও কোনো সমাধান হয়নি উপরন্তু গত ১২ নভেম্বর সকালে মারফত আলী কবিরাজ ও তার ভাই-ভাতিজারা মিলে আকবর আলীকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বসতঘরে ডুকে আক্রমণ করে।
এসময় আকবর আলীর ছেলে মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে ভয় পেয়ে ব্রেইন স্ট্রোক করে। বর্তমানে সে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত। ছেলের চিকিৎসার কারণে অসহায় দিনমজুর আকবর আলী বাড়িতে না থাকায় তাঁর বসতঘরের বেড়া ভেঙ্গে জোরপূর্বক বিল্ডিং ঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিপক্ষ মারফত আলী ও তাঁর ভাই-ভাতিজারা।
আকবর আলী বলেন, ‘আমি আমার অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে অবস্থান করছি আর এই সুযোগ মারফত আলী ও তাঁর ভাই-ভাতিজারা মিলে আমার ঘরের বেড়া ভেঙ্গে আমার ক্রয় করা জমিতে জোরপূর্বক বিল্ডিং নির্মাণ করছে। আমি গরিব মানুষ। আইন আদালতে যাওয়ার মতো সামর্থ্য আমার নাই। আমি প্রশাসনের নিকট সুবিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মারফত আলী কবিরাজ তিনি ও তাঁর পরিবারের উপর আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আকবর আলীর অভিযোগ অসত্য এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেও দাবি করেছেন তিনি।