ইসলাম প্রতিদিন,
কোরআনে আল্লাহ বিভিন্ন ধরনের মানুষের কথা বলেছেন। নিজেকে মিলিয়ে দেখুন আপনি কোন শ্রেণির।
মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআনুল কারিম দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট অবতীর্ণ হয়। কোরআন একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। কোরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে। আয়াত বা পঙ্ক্তি সংখ্যা ৬,২৩৬ টি; মতান্তরে ৬,৬৬৬ টি। এটি মূল আরবি ভাষায় অবতীর্ণ হয়।
কোরআন ধারাবাহিকভাবে অবতীর্ণ ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর মধ্যে সর্বশেষ এবং গ্রন্থ অবতরণের এই ধারা ইসলামের প্রথম বাণীবাহক আদম থেকে শুরু হয়।
রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে কোরআন সম্পর্কে ইরশাদ করে বলেন, إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ
অর্থ: ‘আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক’। (সূরা: হিজর, আয়াত: ৯)
এবার চলুন আমরা জেনে নিই কোরআন তেলাওয়াতের সর্বোত্তম সুফল অর্জন সম্ভব যেভাবে-
অর্থ বুঝে কোরআন তেলাওয়াত করুন। তেলাওয়াত করার সময় প্রতিটি আয়াতের মর্মার্থ উপলব্ধি করে সেগুলো নিয়ে চিন্তা ভাবনা করুন। দেখবেন হৃদয়ে আপনি এক অকৃত্রিম প্রশান্তি বোধ করবেন। হৃদয়ের কোমলতা বাড়বে।
কোরআন তেলাওয়াতের সময় মনে মনে কল্পনা করুন আপনি বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সঙ্গে কথা বলছেন। মনের ভেতর এমন ধরনের অনুভুতি সৃষ্টি করতে পারলে কোরআন তেলাওয়াতের সর্বোত্তম সুফল অর্জন করা সম্ভব হবে। কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন ধরনের মানুষের কথা বলেছেন। নিজেকে মিলিয়ে দেখুন আপনি কোন শ্রেণির মানুষ।