Monday, March 31, 2025
Homeঅন্যান্যকৃষিগ্রাম বাংলার ঐতিহ্য গরু দিয়ে ধান মাড়াই আর নাই

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য গরু দিয়ে ধান মাড়াই আর নাই

ইয়াছিন আলী খান, স্টাফ রিপোর্টার ::

আমাদের দেশ বাংলাদেশ নানা রং ও ছয় ঋতুর দেশ। শস্য শ্যামলা নদীমাতৃক রাখাল বালকের সুরলয় বাশির সুর ভাওয়াইয়া সুরের গান, কৃষকের উদার জমিন, সব মিলিয়ে ছয়টি ঋতু । আর দেখলে মনে হয় একটি রঙিন দেশ। এ দেশের মানুষ গুলোর ঘুম ভাঙ্গে নানা পাখির নানান সুরে ডাকে। প্রাকৃতির বিভিন্নতায় পরিবর্তন হয় ঋতুর ।

প্রাকৃতির বিভিন্নতায় এখন এসেছে হেমন্তকাল। মাঠের ধানের ক্ষেতে সোনা রঙ ধরেছে। মাঠে, ঘরে কৃষকরা ধান কাটার উৎসবে মেতে উঠেছে । কৃষকরা দিনে হাজার ব্যস্ততা সেরে রাতভর করে ধান মাড়াই এর কাজ।

শত ব্যস্ততা অনেক কষ্টের পরেও কৃষাণ ও কৃষাণী মহা আনন্দ আর খুশি। নতুন চালের নতুন নতুন খাবারের গন্ধ ভেসে আসে প্রায় প্রতিটি কৃষকসহ সবার ঘর থেকে। তবে আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক কালের ছোঁয়া লেগেছে কৃষি ক্ষেত্রেও । ধান রোপন, ধান কাটা, ধান মাড়াই থেকে চাল বানা প্রতিটি ক্ষেত্রে ছোঁয়া লেগেছে বিজ্ঞান এর নতুন নতুন আবিষ্কারের।

গরু দিয়ে লাঙ্গল টানা, মই দেয়া সেই কাদামাখা জরাজীর্ণ অবস্থার কৃষককে আর দেখা যায় না। হালের গরুর সাহায্য আর আকাশের পানির অপেক্ষা করে না কোন কৃষক । সেচ দিয়ে পানি আর ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করে চাহিদা মেটাচ্ছে কৃষকরা ।

অল্প সময়ে জমি প্রস্তুত করে ফেলছে। রোদে শরীরের ঘাম ঝরিয়ে জমিতে বীজ ছিটাতে আর হয় না। তার জন্য আধুনিক সব যন্ত্রপাতি দ্বারা জমিতে বীজ বোপন ও ছিটাচ্ছে। প্রতিনিয়ত বাজারে নতুন নতুন কীটনাশক আসছে যখন যেটা প্রয়োজন পরীক্ষা করে কীটনাশক ব্যবহার করছে। ধানের আগাছা পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার হচ্ছে যন্ত্র। ধান মাঠ থেকে কাটার ক্ষেত্রেও ব্যবহার হচ্ছে যন্ত্র। পান্তা খেয়ে সারা দিন ব্যাপী কৃষককে রোদে ঘাম ঝরিয়ে আর ধান কাটতে হয় না।

সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার উপজেলার নয়টি  ইউনিয়নে কয়েক বছর আগে সব কৃষকই গরু দিয়ে ধান মাড়াই করত। এখন খুঁজে দেখা যায় কয়েকজন গরিব কৃষক গরু দিয়ে ধান মাড়াই করে। এতে করে ব্যায় বেশি হয় । কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা বলে গরু দিয়ে ধান মাড়াই এর ঐতিহ্য কেন এই অত্যাধুনিকতায় দেশের অনেক ঐতিহ্যইতো হারিয়ে গেছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments