সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি,
সড়কের ব্যবহৃত ব্লক নিয়ে যাচ্ছে সড়কের আশপাশের গ্রামের লোকজন।
তাহিরপুর-মধ্যনগর সাব মার্জিবল সড়ক (ডুবন্ত সড়ক) পাঠাবুকা, মানিকখিলা ও ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সড়কের ব্যবহৃত ব্লক নিয়ে যাচ্ছে সড়কের আশপাশের গ্রামের লোকজন। এ কারণে হেমন্ত মৌসুমের এই পাকা সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
ব্লক নিয়ে যাওয়ার পর ভোগান্তি বেড়েছে এই পথে যাতায়াতকারী লোকজনের। এই অবস্থা চলমান থাকলে আগামী কিছু দিনের মধ্যে কমপক্ষে দুই কিলোমিটার সাবমার্জিবল সড়ক ব্লক শূন্য হয়ে পড়বে। এমনটাই জানালেন, এই পথে চলচলকারী যাত্রী সাধারণ ও একাধিক মোটরসাইকলে চালক।
হেমন্ত মৌসুমে এই সড়ক দিয়ে মধ্যনগর, ধর্মপাশা ও নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার লোকজন সুনামগঞ্জ ও সিলেটে চলাচল করে থাকেন।
তাহিরপুর মধ্যনগর সড়কে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান উপজেলার ভাটি তাহিরপুর গ্রামের আজহারুল।
তিনি জানান, তাহিরপুর উপজেলা সদর থেকে মধ্যনগর, ধর্মপাশা, দূর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলা সদরের সঙ্গে হেমন্ত মৌসুমে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। এই সড়কে শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঠাবুকা গ্রামের পশ্চিমে, মানিক খিলা গ্রামের সামনে এবং ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কের অনেক স্থান থেকে ব্লক নিয়ে গেছে লোকজন। বর্তমানে এই পথে মোটরসাইকেলে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৯ সালে এলজিইডির হিলিপ প্রকল্পের উপজেলা সদর থেকে সুলেমান বাজার পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ করে। পরবতীর্তে ২০১০ সালে সুলেমানপুর বাজার পশ্চিম পাড় থেকে লামাগাঁও বাজার পর্যন্ত একইরকমভাবে ব্লক দিয়ে আরো ৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ করে এলজিইডি হিলিপ প্রকল্প।
নির্মাণের পর হেমন্ত ছয় মাস এই পথে মধ্যনগর, ধর্মপাশা ও অন্যান্য উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের লোকজন খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারছেন। সম্প্রতি সড়ক থেকে পানি নেমেছে। এরই মধ্যে পাঠাবুকা গ্রামের পশ্চিম পাশ থেকে শুরু করে ভাবনীপুর গ্রামের আশপাশের সড়কটি থেকে স্থানে স্থানে ব্লক রাতের অন্ধকারে নিয়ে যাচ্ছে লোকজন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকেই জানান, সড়ক সংশ্লিষ্ট গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি তাদের প্রয়োজেন রাতের অন্ধকারে ব্লক উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। গ্রামগুলোতে গিয়ে খোঁজ করলেই দেখতে পাবেন কে বা কারা এই ব্লক উঠিয়ে নিয়ে গেছে।
শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন ভবানীপুর গ্রামের অঞ্জন তালুকদার বলেন,ডুবন্ত সড়কটি হেমন্ত মৌসুমে হাওরপারের লোকজনের যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা করে দিয়েছে। এ সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখাশোনা করা সাবার দায়িত্ব। ব্লক উঠিয়ে সড়কটি নষ্ট করা ছাড়া কাজের কাজ তেমন কিছু হবে না
তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তুজাম্মিল হক নাসরুম বলেন, তাহিরপুর-মধ্যনগর সড়কে এলজিইডির ঠিকাদার নতুন করে পাকা রাস্তার কাজ করছেন। এমতাবস্থায় রাস্তার ওপর পুরাতন ব্লকগুলো সংরক্ষণ করলে ভালো হয়।
তাহিরপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান বলেন, তাহিরপুর-মধ্যনগর সাব মার্জিবল সড়কের পাঠাবুকা গ্রামের পশ্চিম পাশ ও মানিকখিলা গ্রামের সামনের সড়ক থেকে ব্লক নিয়ে যাচ্ছে এইবিষয়টি স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন।