লাইফস্টাইল ডেস্ক,
বিয়ে বা বিবাহ হলো একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি; যার মাধ্যমে দুজন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতিভেদে বিবাহের সংজ্ঞার তারতম্য থাকলেও সাধারণ ভাবে বিবাহ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে দুজন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে। কিছু সংস্কৃতিতে, যেকোনো প্রকারের যৌন কর্মকাণ্ডে প্রবৃত্ত হওয়ার পূর্বে বিবাহ সম্পন্ন করাকে বাধ্যতামূলক হিসেবে পরামর্শ দেওয়া অথবা বিবেচনা করা হয়।
সর্বোপরি বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন। আর এই বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দুজন মানুষ একসঙ্গে, একই ছাদের তলায় বসবাস শুরু করেন। বিবাহিত জীবনের সূচনা ঘটে সংসারের মাধ্যমে। তাই বিয়ের আগে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তাহলেই মিলবে মানসিক শান্তি।
বিয়ের আগে হবু বর-কনের উচিত কয়েকটি মেডিকেল টেস্ট করানো। এতে বিরক্ত বা রাগান্বিত হওয়ার কিছু নেই বরং সচেতন মানুষ হিসেবে ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে প্রতিটি হবু দম্পতিরই উচিত কয়েকটি টেস্ট করানো।
বিয়ের আগে বর-কনের উচিত নিজেদের প্রতি নিয়ন্ত্রণ রাখা ও প্রতিটি পদক্ষেপ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নেওয়া। কয়েকটি কাজ আছে, যা বিয়ের আগের দিন বা রাতে বর-কনের করা উচিত নয়।
বিয়ের আগে হবু সঙ্গীর ব্যাকগ্রাউন্ড বা পারিপার্শ্বিক অবস্থা যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গীর পরিচয় ও প্রকৃততা যাচাই সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য অপরিহার্য।
অনেকেই পারিবারের পছন্দ অনুযায়ী বিয়ে করেন। এ ক্ষেত্রে বর-কনের একে অপরকে চেনা-জানার সম্ভাবনা কম থাকে। যদিও পারিবারিকভাবে বিয়ে করার অনেক সুবিধা আছে। তবে এ ক্ষেত্রে বিয়ের আগে অনেকেই নানা কারণে দুশ্চিন্তায় থাকেন।
বিয়ের আগের দিন খাবারের বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। বিয়ের বেশ ক’দিন মেহেদি, গায়ে হলুদসহ একাধিক অনুষ্ঠানে নানা খাবার খাওয়া হয়। ফলে পেটের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। যা অনেক সময় বিয়ের দিন শরীরে প্রভাব ফেলে।
আপনি কাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন, তার সঙ্গে মনের মিল হবে কি না কিংবা জীবনসঙ্গী হিসেবে তিনি পারফেক্ট কি না এসব বিষয় মাথায় রেখেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বিয়ের মাধ্যমে নারী-পুরুষের জীবনে পরিবর্তন আসে।