নিজস্ব প্রতিবেদক,
কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডা. এইচএম এনায়েত হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এ হামলার পেছনের কারণ ও পুরো ঘটনা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে জনমনে। প্রশ্ন উঠেছে- এমন হামলার নেপথ্যের কারণ কী?
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও চাকরি নিয়মিতকরণের দাবি সমাধানের জন্য আজ বৃহস্পতিবার সকালে ১১টায় আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু ভিসি কর্মকর্তা কর্মচারী না জানিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। এ সময় তিনি গেটের তালা ভেঙ্গে অফিসে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ায় সব কর্মকর্তা-কর্মচারী চড়াও হয়ে ভিসির ওপর হামলা করেন। এসময় সব সমস্যা আজকের মধ্যে সমাধানের জন্য বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
তবে ভিসি পক্ষের বক্তব্য সূত্রে জানা যায়, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সালে সাবেক উপাচার্য ডা. মোর্শেদ আলম থাকাকালে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ইন্ধনে ২৩৯ জনকে চাকরিতে নিয়োগ দেয়। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে ইউসিজি থেকে ঐ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ আসে। এরপর আর তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ হয়নি।
তবে ভিসি বিদায়ের এক বছর পর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে বর্তমান উপাচার্যকে ঐ নিয়োগের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কাজ করতে বলা হয়। কিন্তু, বর্তমান উপাচার্য অবৈধ নিয়োগকারীদের পক্ষে কাজ না করায় গত ৫ আগস্ট থেকে আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা দেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে এমন হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক প্রশাসনকে অবগত করা হলে ঐ স্থানে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং র্যাবের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে বিষয়টি ভিসির সঙ্গে বসে সমাধানের চেষ্টা করেন। সভায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। পাশাপাশি ভিসি এখন থেকে নিয়মিত অফিস করতে যেন কোনো বাঁধা দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন।