দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর আলম রেমিট্যান্স যোদ্ধা থেকে হয়েছেন সফল উদ্যোক্তা। নিরাপদ-স্বচ্ছল জীবনের আশায় অনেকে প্রবাসে পাড়ি দিলেও, সেখানে গিয়ে কী করবেন, সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা থাকে না। তাই দেশের বাইরে গিয়ে স্বস্তির জীবনের পরিবর্তে তৈরি হয়, কঠিন টানা পোড়েনের অভিজ্ঞতা। দেশের অর্থনীতির চাকা যাদের মাধ্যমে গতিশীল হচ্ছে, তাদের মধ্যে এমন এক সফল রেমিটেন্স যোদ্ধা সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
একজন সফল ব্যবসায়ীর পাশাপাশি, তিনি একজন মানবপ্রেমিক সমাজকর্মী হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেছেন। একজন সফল ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও কমিউনিটির নেতা হিসেবে, তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে স্বরপরিবারে লন্ডনে বসবাস করেও মা মাটি ও মানুষের টানে পরিবার পরিজন সেখানে রেখে দেশে চলে আসেন। ওই সময় দেশে কোটি কোটি টাকা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দেশে এসে সমাজসেবায় ব্রত হন।
বলাইবাহুল্য যে, কঠোর পরিশ্রম, ইস্পাত কঠিন সংকল্প ও পাহাড়সম প্রতিজ্ঞা জাহাঙ্গীর আলম অল্পদিনের মধ্যে হয়ে ওঠেন দেশের অন্যতম একজন উদ্যোক্তা। যে দিকে তিনি হাত দিয়েছেন সে দিক থেকেই এসেছে তাঁর অভূতপূর্ব সফলতা। তিনি ছাতক জাবা মেডিকেল সেন্টার ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বত্বাধিকারীর। তাঁর প্রতিষ্ঠিত জাবা মেডিকেল দেশের প্রাইভেট মেডিকেল গুলোর অন্যতম। তাঁর প্রতিষ্ঠিত জাবা মেডিকেল সেন্টার ছাতক-দোয়ারাবাজারে স্বাস্থ্যসেবায় ইতোমধ্যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রতিষ্ঠিত ‘জাবা কুরআনিক গার্ডেন’ দেশের অন্যতম প্রাইভেট একটি দীনিশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শীঘ্রই চালু হচ্ছে শিল্পশহর ছাতকে।
সামাজিক উন্নয়নে জাহাঙ্গীর আলমের ভূমিকা অতুলনীয়। তিনি ব্যাপক সামাজিক উন্নয়ন, অসংখ্য স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানায় সহযোগিতা ও জাবা নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেছেন চ্যারিটেবল ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান জাবা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মসংস্থান হচ্ছে অসংখ্য মানুষের।
অপরদিকে সমাজিক কার্যক্রম সহ অসচ্ছল মানুষের পাশে তার সহযোগীতার হাত প্রসারিত থাকে সব সময়। করোনা পরিস্থিতির সময় ছাতক-দোয়ারাবাজারে সাময়িক কর্মহীন বহু মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
ব্যক্তিগত উদ্যোগে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য জাহাঙ্গীর আলম স্থাপন করেছেন অসংখ্য টিউবওয়েল। তিনি নিজ অর্থ ব্যয়ে অনেক আশ্রয়হীণ ও গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছেন। তাঁর কর্মতৎপরতা ব্যাপক প্রশংসনীয়। স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ ও বিভিন্ন ধর্মীয় কাজে তিনি সহযোগিতা করেন।
জাহাঙ্গীর আলম প্রতি বছর দুই ঈদে নিয়মিতভাবে হতদরিদ্র ও এতিমদের জন্য নগদ আর্থিক অনুদান ও বস্ত্র বিতরণ করে আসছেন। এতিম ও দরিদ্র পরিবার পরিজনদের জন্য বিনা খরচে তাঁর প্রতিষ্ঠিত জাবা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছেন।
জাহাঙ্গীর আলম তাঁর দীর্ঘজীবনে দেশে বিদেশে পেয়েছেন অনেক সম্মাননা ও পুরস্কার। তাঁর কাজের স্বীকৃতি পেয়েছেন, পেয়েছেন অগণিত মানুষের অকৃত্রিম শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।
জাহাঙ্গীর আলম একজন সহজ সরল ও উদার মনের মানুষ। তিনি নিজেকে নিজস্ব পরিমন্ডলে রেখে জীবনে শুধু অর্থ কামানো ও মুনাফা বানানোকে ব্রত বানিয়ে এগিয়ে যাননি। বরং একজন সাধারণ বাঙালি হিসেবে দেশের সার্বিক কল্যাণে বহুমাত্রিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হয়ে সমাজ উন্নয়নে স্বত:স্ফূর্তভাবে ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তাঁর জীবনের অর্জিত সব সম্পদ থেকে জনকল্যাণে প্রতিনিয়ত ব্যয় করছেন। তাঁর অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে ব্যক্তিগত সহযোগীতার ক্ষেত্রে এক বিরল দৃষ্টান্ত। এমন ব্যক্তিকে নিয়ে জাতি গর্ব করতে পারে।