স্পোর্টস ডেস্ক,
নানা নাটকীয়তা আর জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ব্যালন ডি’অর ২০২৪ উঠেছে রদ্রিগো হার্নান্দেজের হাতে। প্রায় সবাই যখন ধরে নিয়েছিল, ২০২৩-২৪ মৌসুমের বর্ষসেরা ফুটবলার হতে চলেছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, তখনই বাজিমাত করলেন রদ্রি। প্যারিসের বিখ্যাত থিয়েটার দ্যু শাতলে আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব জিতলেন স্পেন ও ম্যানচেস্টার সিটির এই তারকা মিডফিল্ডার।
গত মৌসুমে দুর্দান্ত খেলেছিলেন রদ্রি। ক্লাব ফুটবলে ম্যানসিটিকে যেমন জিতিয়েছেন প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা, তেমনি আলো ছড়িয়েছেন জাতীয় দলেও। এক যুগ পর স্পেনের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ পুনরুদ্ধারে রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। ব্যালন ডি’অরে সংক্ষিপ্ত তালিকায় তাই রদ্রিকে দেখে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন–লম্বা সময় পর প্রিমিয়ার লিগের (ইংল্যান্ড) কোনো ফুটবলারের হাতে উঠতে যাচ্ছে ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার এই ব্যক্তিগত শিরোপা।
ব্যালনের আয়োজনে সবার দৃষ্টি থাকে, কে হবেন বর্ষসেরা ফুটবলাররা। একটা সময় সবারই জানা ছিল উত্তরটি। হয় লিওনেল মেসি নয়তো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো—দুজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল সেটি। ২০১৮-র পর রোনালদো লড়াই থেকে ছিটকে গেলেও মেসি ছিলেন। সর্বশেষ ব্যালন ডি’অরটিও উঠেছিল তার হাতে। এবার দুজনের কেউই ছিলেন এমনকি সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও। দুই মহাতারকার ছেড়ে যাওয়া মাঠে যেন গোল করতে ভুল করেননি রদ্রি।
স্পেন ও সিটির জার্সিতে গত মৌসুমে মোট ৬৩ ম্যাচ খেলেছেন রদ্রি। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হয়েও করেছেন ১২ গোল, পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ১৬টি। বলা হয়, ম্যাচে যারা মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নেয়, ফল অনেকটাই তাদের পক্ষে চলে আসে। মৌসুমজুড়ে রদ্রি সেই কাজটিই করেছেন। ক্লাব কোচ পেপ গার্দিওলা তো তাকে সময়ের সেরা মিডফিল্ডার বলে আখ্যাই দিয়েছেন। অথচ, গত মৌসুমেও মাঠ দাপিয়ে বেড়ান টনি ক্রুসের মতো তারকা। লুকা মদ্রিচ এখনও খেলছেন।
গার্দিওলা কেন তাকে সেরা বলেছেন, প্যারিসের গালা নাইটে সব আলো নিজের করে সেটি বুঝিয়ে দিলেন ২৮ বছর বয়সী রদ্রি। গত ১৭ বছরে মদ্রিচের পর দ্বিতীয় মিডফিল্ডার হিসেবে ব্যালন ডি’অর জিতলেন তিনি।
ব্যালন ডি’অর জিতে রদ্রির সহজ সরল কথা, ‘এটি আমার দেশের মানুষের জন্য। যারা আমাকে সমর্থন দিয়েছে। আমার ক্লাব সতীর্থ, কোচ ও ভক্ত সবার জন্য এই অর্জন।’