মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মনুনদী থেকে উত্তোলিত হওয়া বালু শ্রীমঙ্গলসহ বিভিন্ন স্থানে পরিবহন হচ্ছে। অতিরিক্ত বহনকারী বালুভর্তি ১০চাকার ট্রাকে বহন করার কারণে ধ্বসে পড়ছে পর্যটনবাহী কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কপথ। ঝুঁকির মুখে রয়েছে চলাচলকৃত যানবহন সমুহ।
মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথের আপত্তি উপেক্ষা করে ধারণ ক্ষমতার অধিক ভারী গাড়িতে বালু পরিবহন হচ্ছে। গত শনিবার দিবাগত রাতে ও রোববার ভোরে সাবেক পৌর মেয়র আবু ইব্রাহীম জমশেদ এর নের্তৃত্বে স্থানীয় লোকজন প্রায় অর্ধশত গাড়ি আটকিয়ে রাখেন।
এতে কমলগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা থেকে ধলাই নদীর নতুন ব্রীজ এলাকায় যান চলাচলের মারাত্মক ব্য্ঘাাত ঘটে। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অতিরিক্ত বালু বহনের দায়ে বালু সরবরাহকারী উজিরপুর গ্রামের মো: হারুনুর রশীদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
জানা যায়, অতিরিক্ত বালু বহনকারী গাড়ির কারনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের শমশেরনগর-চাতলাপুর ও কুলাউড়া-শমশেরনগর-শ্রীমঙ্গল সড়কে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া উন্মুক্ত অনেক গাড়ির বালুর কারনে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকির মুখে রয়েছেন পথচারী ও যানবাহন চালকরা। দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে বালু বহনের কারনে সড়কে যানজটসহ স্থানীয়ভাবে অনেকেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন।
রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সড়ক বিভাগ, মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার হামিদ গত ১৯ মে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত সচিত্র পত্রে বলেন, কুলাউড়া- শমশেরনগর-শ্রীমঙ্গল সড়কে ২২ মে.টন লোড বহন করার অনুমোদন রয়েছে। তবে বালু বহনকারী ধারণ ক্ষমতার অধিক ভারি গাড়িতে বালু মহালদারদের ৪০ থেকে ৫০ টন বালু বহনকারী ১০ চাকার ভারী ট্রাক নিয়মিত চলাচলের কারনে ফাউন্ডেশনসহ সড়ক পেভমেন্ট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব ভারী গাড়িতে বালু পরিবহন বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, অতিরিক্ত বালু বোঝাই ট্রাক আটকা পরিবহনের ঘটনায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বালু সরবরাহকারী মো: হারুনুর রশীদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বিকাল ৫টার পর বালুবোঝাই ট্রাকগুলো ছেড়ে দেয়া হয়।