নিজস্ব প্রতিবেদক,
সিলেটে একের পর এক প্রাথমিক শিক্ষক পাড়ি জমাচ্ছেন বিদেশে। গত এক বছরে ছুটি নিয়ে দেশ ছেড়েছেন শতাধিক শিক্ষক। স্থায়ী হওয়ার প্রবণতার কারণে বাড়ছে শিক্ষক সংকট। দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় ৫০ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ৭৮টি বিভাগীয় মামলাও চলছে।
সিলেটে শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনেকেই এখন বিদেশে। প্রবাসে মা-বাবার অসুস্থতা কিংবা ভ্রমণের কথা বলে গত এক বছরে ছুটি নিয়ে বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন শতাধিক শিক্ষক। জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪২৩ সহকারী ও প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য।
শিক্ষক না থাকায় প্রাথমিকে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। এতে উদ্বেগ জানিয়েছেন খোদ শিক্ষকেরাই।
সিলেটের জিন্দাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা খাতুন বলেন, দেশ ছেড়ে যে সকল শিক্ষকেরা বিভিন্ন কারণে বিদেশে থেকে যাচ্ছেন তারা তো চাকরি ছেড়ে যাচ্ছেন না। ফলে তাদের পদগুলো ফাাঁকও দেখানো যায় না। এতে অবশ্যই প্রাথমিকে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
প্রাথমিকে শিক্ষক সংকট দূর করতে বিভাগভিত্তিক নিয়োগ পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদেরা।
এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ ও গবেষক ড. আবুল ফতেহ বলেন, যদি ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভাগে অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা হয় তাহলে আশা করা যায় দ্রুতই খালি পদগুলো পূরণ করা যাবে।
এদিকে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশ ছাড়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাখাওয়াত এরশেদ।
জেলায় অনুমোদিত সহকারী শিক্ষক ৭ হাজার ৮ শ ৭০ জন। কর্মরত আছেন ৭ হাজার ১ শ ৮৮ জন। এ ছাড়া ১ হাজার ৪ শ ৭৭টি প্রধান শিক্ষক পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৭ শ ৩৬ জন। শূন্য পদে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।