বিশেষ প্রতিনিধি,
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে ৪ মাসের শিশু মাহমুদা আক্তার মিমকে হত্যার অভিযোগে তার দাদী ও ফুফুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার ২ অক্টোবর তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো নিহত মিমের দাদি মরিয়ম বিবি (৪৫) ও তার ফুফু পপি আক্তার (২০)। এ ঘটনায় মরিয়ম বিবি (৪৫) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
জানা যায়, সাংসারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে নিহতের মা মিনারা বেগমের সাথে তার শাশুড়ি মরিয়ম বিবি (৪৫) ও ননদ পপি আক্তার (২০) প্রায়ই মনোমালিন্য ও ঝগড়া হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ২টার দিকে পরিবারের সকল সদস্যদের রাতের খাবার খাইয়ে মিনারা বেগম ঘুমিয়ে পড়েন। ১ অক্টোবর মঙ্গলবার ফজরের আযানের পর ঘুম থেকে উঠে সাংসারিক কাজকর্ম ও রান্না-বান্না নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। এরমধ্যে মাহমুদা আক্তার মিম কান্না করলে সকাল ৬টার দিকে তিনি মিমকে দুধ খাওয়াইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে যান এবং আবার রান্না-বান্নায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
এসময় তার শাশুড়ি মরিয়ম বিবি (৪৫) ও ননদ পপি আক্তার (২০) বসতঘরের ভিতরে অবস্থান করিতেছিল। তার শ্বশুর শিশু মিমকে ঘুম হতে জাগাইতে বলেন। এসময় তার শ্বাশুড়ি বসত ঘরের ভিতর হতে তাকে নিষেধ করে বলেন মাহমুদা ঘুমে আছে সে ঘুমাক।
সকাল ৭টার দিকে তার শ্বশুর আব্দুল মজিদ মিমকে ঘুম থেকে জাগিয়ে কোলে নেয়ার জন্য তার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করলে মিমকে না পেয়ে খোজাখুজি শুরু করেন। পরে শয়ন কক্ষের পিছনে অবস্থিত পুকুরের কিনারায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহটির মাথার অংশ পানিতে ডুবন্ত ও পায়ের অংশ ডাঙায় থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ কামাল হোসেন পিপিএম বলেন, হত্যা মামলা দায়েরের পর নিহতের ফুফু ও দাদিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের দাদী মরিয়ম বিবি (৪৫) ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।