স্পোর্টস ডেস্ক,
সাকিব আল হাসান—বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় নাম। পোস্টার বয়, একজন মহানায়ক, যে নামেই আপনি বিশেষায়িত করুন না কেন তাতে বরং কমতি থেকে যাবে। সাকিবের হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে দূর থেকে বহুদূরে। লাল-সবুজের জার্সি গায়ে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানার পথে এই ৩৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার। এরইমধ্যে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। আর সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার বলা হয় তাকে। ২২ গজে নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়ে জীবন্ত কিংবদন্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন সাকিব। অবসরের ঘোষণা দিলেও ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে দেখা যাবে এই অলরাউন্ডারকে। সেটিই হতে যাচ্ছে সাদা পোশাকে তার শেষ সিরিজ। তবে, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই ইতি টেনেছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের। যদিও এতদিন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কেমন ছিল সাকিবের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার।
২০০৬ সালে বিকেএসপিতে হাতেখড়ির পর ২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিবের। একই বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই খুলনায় টি-টোয়েন্টি ও পরের বছর চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় দেশসেরা ক্রিকেটারের। ওই বছরের ২৮ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৮ বলে ২৬ রান ও বল হাতে ৩১ রান খরচায় নেন এক উইকেট। সেটিই ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার প্রথম উইকেট।
বাংলাদেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে শেষ ম্যাচ খেলেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেই ম্যাচটিতে বল হাতে ১৯ রান খরচ করলেও পাননি কোনো উইকেটের দেখা। ব্যাট হাতেও প্রথম বলেই শূন্য রানে ফেরেন সাজঘরে। সবমিলিয়ে বিদায়ী ম্যাচটা দুঃস্বপ্ন হয়ে রইল এই অলরাউন্ডারের। কারণ সেই ম্যাচে নাটকীয় হারে বিশ্বকাপের সুপার এইট থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে ১২৯ ম্যাচে ১২৭ ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন। ২৩.১৯ গড়ে ১৩ ফিফটিতে করেছেন ২৫৫১ রান। সর্বোচ্চ রান ৮৪। বল হাতে ১২৬ ইনিংসে ৬.৮১ ইকোনোমিতে নিয়েছেন ১৪৯ উইকেট। ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ২০ রানে ৫ উইকেট।