নিজস্ব প্রতিবেদক,
সিলেটে রুখা যাচ্ছে না চোরাকারবারিদের ।বিজিবি-পুলিশের অভিযানে ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে এ জনপদের সীমান্ত এলাকা দিয়ে দেশে ঢুকছে ভারতীয় চোরাচালান। সাম্প্রতিককালে সীমান্ত এলাকায় এবং সড়ক-মহাসড়কে বিজিবি-পুলিশের অভিযান জোরদার করায় চোরাচালান আটকের ঘটনাও বেড়েছে। তবে, অধিকাংশ চোরাকারবারিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকছে।
মঙ্গলবারও সিলেট ও সুনামগঞ্জে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ও পুলিশের পৃথক অভিযানে সোয়া কোটি টাকার চোরাচালান জব্দ হয়েছে। এগুলোর সঙ্গে জড়িত কোনো চোরাকারবারিই ধরা পড়েনি।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিজিবি ও পুলিশের পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪৮ বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সিলেট ও সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকায় ৪৮ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে চোরাচালানবিরোধী অভিযান হয়। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী তেরাপুর থেকে ১৬টি ভারতীয় মহিষ, কলাউড়া থেকে আট হাজার কেজি বাংলাদেশি সুপারি, ৪২০ কেজি দেশি রসুনসহ এক কোটি ১৯ লাখ ৪৩ হাজার ৯৮২ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ করা হয়।
জব্দ চোরাই পণ্য নিলামে বিক্রির জন্য কাস্টমসে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান।
এদিকে, পৃথক অভিযানে ভারতীয় মদ ও চিনি জব্দ করেছে সিলেটের জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সিলেট তামাবিল মহাসড়কের বিরাইমারা ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় বস্তা থেকে ১৩০ বোতল ভারতীয় ম্যাগডুয়েল মদ জব্দ করা হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে জৈন্তাপুর রাজবাড়ি সংলগ্ন চাঙ্গিল ব্রিজের নিচ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১২ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদিউজ্জামান বলেন, ‘ভারতীয় মদ ও চিনি জব্দের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।’