বিশেষ প্রতিনিধি,
প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) মন্দির নির্মাণের উদ্দেশ্যে স্থাপনা তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের কার্যক্রম সম্পর্কে অনুসন্ধানের জন্য শিগগিরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানান অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজা সেলিম। এ সভায় কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী দ্বারা অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে আরো তিনটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানান তিনি।
সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১. ব্যক্তি উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোনো স্থায়ী বা অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের কোনো আইনগত বৈধতা নেই।
২. স্থাপনা নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাখিলকৃত ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কোনো স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি প্রদান করেনি।
৩. যদি কোনো পক্ষ স্থায়ী বা অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ উদ্যোগ গ্রহণ করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ড. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোনো স্থাপনা স্থাপন করা বেআইনি। শিক্ষার্থীদের দ্বারা এ স্থাপনা নির্মাণের কোনো আইনগত বৈধতা নেই। যারা এ স্থাপনা নির্মাণ করছেন তাদের প্রতি আমাদের আহ্বান- তারা যেন এ স্থাপনা কাজ বন্ধ রাখে এবং সব জিনিসপত্র যেন তারা নিজ উদ্যোগে এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, সামনে দুর্গাপূজা। শিক্ষার্থীরা যদি প্রশাসন বরাবর আবেদন করে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে পূজার জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে জায়গার ব্যবস্থা করে দেবে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউসি ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে অস্থায়ী ভিত্তিতে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রার্থনার জায়গা রয়েছে। সেখানে নিয়মিতই প্রার্থনা কর থাকেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর কিছুসংখ্যক সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের পেছনে অনুমতি ছাড়া মন্দির স্থাপনের কাজ শুরু করেন। অনুমোদনহীন এ কাজ শুরু করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে কাজ বন্ধ রাখতে বলে। এরপরও তারা নির্মাণ কাজ চালিয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশ ও র্যাব এনে শিক্ষার্থীদের এ অবৈধ স্থাপনার কাজ বন্ধ করান।