মতিউর রহমান (দুলাল) গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের খলিল আহমদ (৪৫) নামে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) অনুমান রাত ৮টার দিকে ঘোড়ামারা গ্রামের মুন্সিবাজার থেকে বাড়ী ফিরার পথে রাস্তার পাশে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত উমর আলী ঘোড়ামারা গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ডের তোয়াকুল ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। আহত খলিল আহমদ ঘোড়ামারা গ্রামের মৃত জহির আলীর ছেলে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত সোমবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় মুন্সিবাজার থেকে বাড়ি ফিরার পথে ইউপি সদস্য ওমর আলী ও তার লোকেরা খলিল আহমদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় হামলাকারীরা লোহার রড,লাইট ও চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে তাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে এবং তার সাথে থাকা বাটন মোবাইল ও নগদ ৩০ হাজার ৯৫০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আশপাশে থাকা বাড়ির লোকজন তার শোর চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় ।
তৎক্ষনে হামলা কারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। হামলার শিকার খলিল বলেন, ‘মেম্বার ওমর আলী আমাকে একটি টিউবওয়েল দিবেন বলে আমার কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। আরো টাকা দিতে চাওয়ায় আমি অপারগতা স্বীকার করে আমার দশ হাজার টাকা ফেরত চাওয়ায় আমার উপর রাতের আঁধারে সে ও তার লোকেরা অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে সাবেক ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মুতলিব বলেন,দূর থেকে একজন মানুষের চিৎকার শুনতে পেরে আমরা চারিদিক থেকে এগিয়ে যাই এবং তাকে আহত অবস্থায় দেখতে পাই। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করলে সে বলে ওমর আলী মেম্বার ও তার লোকেরা তার উপর হামলা করেছে। তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য গোয়াইনঘাট সরকারি হাসপাতালে পাঠাই।
উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও ওয়ার্ড সদস্য উমর আলী বলেন,মোবাইল ফোনে আমি তার উপর হামলার খবর পেয়েছি।
এখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। কে বা কারা হামলা করেছে তাও বলতে পারিনা। টিউবওয়েল দিতে টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন আমি কখনো কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেইনি। সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই সালেহ আহমদ বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।